নভেম্বর ২৫, ২০২৪

বিজ রিপোর্ট

শিল্প কারখানাগুলোতে গ্যাস ও বিদ্যুত সংকট এবং ইউরোপে চাহিদা কমায় আগামী দুই মাসে পোশাক খাতে রপ্তানি ২০ শতাংশ কমবে বলে আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির- (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান।

রোববার (৩০ অক্টোবর) বিজিএমই এর প্রধান কার্যালয়ে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ উইক এবং ৩৭তম আইএএফ ওয়ার্ল্ড ফ্যাশন কনভেনশন’ বিষয়ে মিট দ্য প্রেসে এ শঙ্কার কথা বলেন তিনি।

ফারুক হাসান বলেন, গত বছরের আগস্ট থেকে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত পোশাক শিল্পে টানা প্রবৃদ্ধি হয়েছে। যে কারণে গত অর্থবছরে এ শিল্প খাত থেকে রপ্তানি হয়েছে ৪২ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু গত দুই মাসে আমরা উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি, ক্রয়াদেশ ধাপে ধাপে কমছে।

তিনি বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অস্থিরতা, মূল্যস্ফীতি এবং খুচরা বাজারে প্রভাবের কারণে যুক্তরাষ্ট্র এবং জার্মানিসহ প্রধান বাজারগুলোতে প্রবৃদ্ধি কমছে।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, বিশ্ব জুড়ে জ্বালানি সংকট চলছে। স্থানীয় পর্যায়ে গ্যাস- বিদ্যুতের সংকটের প্রভাব আমদের পোশাক শিল্পেও পড়েছে। এতে করে শিল্পে ব্যয় বাড়ছে দুইভাবে।

তিনি অরো বলেন, বিদ্যুতের অপ্রতুলতার কারণে কারখানাগুলোতে ডিজেল দিয়ে জেনারেটর চালানো হচ্ছে। বেশি সময় জেনারেটর চালানোর কারণে সেগুলো ঘন ঘন বিকল হচ্ছে। এতে শিল্পে উৎপাদন ব্যয় বাড়ছে। সরকারের কাছে আমাদের একান্ত অনুরোধ রপ্তানিমুখি শিল্প কারখানাগুলোতে বিশেষ ব্যবস্থায় চাহিদা অনুযায়ী নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ করা হোক। অন্যথায় রপ্তানি আয় ক্রমাগত কমতে থাকবে। এতে নভেম্বর মাসেও রপ্তানি আয় হ্রাস পাওয়ার শঙ্কা থেকেই যাবে। সার কারখানায় গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে এনে রপ্তানিমুখিী শিল্প কারখানায় গ্যাস সরবরাহ বেশি দেয়া যায় কিনা সেটা নিয়ে সংশ্লিষ্টদের ভাবার আহবান জানাচ্ছি।

বিজিএমইএ সভাপতি আরো বলেন, ‘আমরা যদি শিল্পের প্রতিযোগী সক্ষমতা বাড়াতে পারি, স্বচ্ছতা এবং ট্রেসেবিলিটি বাড়াতে পারি এবং ক্রেতাদের কাছে একটি গ্রহণযোগ্য, নির্ভরযোগ্য এবং গ্রিন প্ল্যাটফর্ম হিসেবে নিজেদের উপস্থাপন করতে পারি, শিল্পকে টেকসই করতে পারি, তাহলে আমাদের রপ্তানি ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। শিল্পটি প্রত্যক্ষভাবে আরো ১০ মিলিয়নেরও বেশি এবং পরোক্ষভাবে ব্যাকওয়ার্ড এবং ফরওয়ার্ড লিংকেজ মিলে আরও ৪০ থেকে ৫০ লাখের বেশি কর্মসংস্থান তৈরি করতে সক্ষম হবে। ইনোভেশন সেন্টার এই বিষয়গুলোতে আমদের সহায়তা করবে। একই সঙ্গে ২০৩০ সালের মধ্যে শিল্পের জন্য একটি পথনকশা তৈরি করবে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...