পুঁজিবাজারের গতি ফেরাতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের (এফআইডি) কাছে পাঁচ হাজার কোটি টাকা চেয়েছে ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)। একইসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ডিমান্ড লোন হিসেবে আরো এক হাজার কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ হিসেবে নেওয়া অর্থ বা টার্ম ডিপোজিটকে (টিডি) পুঁজিবাজার বিনিয়োগ সীমার (এক্সপোজার লিমিট) আওতার বাহিরে রাখার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়গুলো দ্রুত বাস্তবায়ন হলে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সক্ষমতা আরো বাড়বে বলে মনে করেন আইসিবি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল হোসেন।
সম্প্রতি বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন তথ্য জানিয়েছেন।
রোববার (২৯ জানুয়ারি) দ্য বিজ২৪ডট কমের সঙ্গে পুঁজিবাজার পরিস্থিতি নিয়ে আলাপকালে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হোসেন শামীম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামুন হোসেন শামীম আইসিবির এমডির বরাত দিয়ে বলেন, পুঁজিবাজারে আইসিবির বিনিয়োগ নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। মূলত আইসিবি বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে টার্ম ডিপোজিট হিসেবে ঋণ নিয়ে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে থাকে। এ ডিপোজিট ফান্ডকে যদি পুঁজিবাজার বিনিয়োগ সীমার আওতার বাহিরে রাখা হয়, তাহলে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো আইসিবির মাধ্যমে বিনিয়োগে উৎসাহী হবে। এতে আইসিবির বিনিয়োগের সক্ষমতা বাড়বে। আর এটিকে অনেকেই ডিপোজিটরি ফান্ড হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
তিনি আরো বলেন, আইসিবির এমডি আমাদেরকে জানিয়েছেন, পুঁজিবাজারের গতি ফেরাতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের কাছ থেকে পাঁচ হাজার কোটি টাকা এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে ডিমান্ড লোন হিসেবে এক হাজার কোটি টাকাসহ মোট ছয় হাজার কোটি টাকা চেয়েছে আইসিবি। এসব অর্থ পেলে আইসিবির পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করার তহবিল আরো বৃদ্ধি পাবে।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত ‘আইসিবির বিনিয়োগ ক্ষমতা বাড়ানো নিয়ে বিভ্রান্তি’ খবর প্রসঙ্গে মামুন হোসেন শামীম বলেন, আইসিবির এমডির সঙ্গে আলোচনা করে বুঝতে পেরেছি যে, আসলে এ বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির তেমন কোনো কারণ নেই। মূলত আইসিবি টার্ম ডিপোজিট হিসেবে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে থাকে। আর এ ঋণ নেওয়া অর্থ আইসিবি পুঁজিবাজারে বিনিয়োগসহ বিভিন্ন খাতে ব্যবহার করে থাকে। ঋণ হিসেবে নেওয়া এই টার্ম ডিপোজিটকেই বিভিন্ন গণমাধ্যমে ডিপোজিটরি ফান্ড হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আইসিবির সঙ্গে আলোচনা করেই এ বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে।
আইসিবির সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মহসিন মিয়া, অর্থবিষয়ক সম্পাদক মো. পারভেজ আলী, নির্বাহী সদস্য মো. সিরাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন:
আইসিবির ৬০০০ কোটি টাকার ক্রয় ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক