নভেম্বর ১৪, ২০২৪

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, গণতান্ত্রিক দেশে সরকারের সমালোচনার নামে ধংসাত্মক বক্তব্য দেওয়া উচিত নয়। একইসাথে নিজের দেশকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপনের মধ্যেমে কোন কৃতিত্ব নেই। নিজ দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার থেকে বিরত থাকার আহবান জানান তিনি।
রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বিনির্মাণে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমকে দেশের ইতিবাচক দিক বহির্বিশ্বে তুলে ধরতে হবে। গণতান্ত্রিক দেশে সরকারের সমালোচনা অবশ্যই হবে। তবে তা যদি দেশ বিধ্বংসী সমালোচনা হয়, সেটি কাম্য নয়।
হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ নিয়ে কোনো নেতিবাচক খবর বাইরের দেশের গণমাধ্যম যত বড় করে প্রকাশ করে তার চেয়ে কয়েকগুণ বড় করে প্রকাশ করে দেশের গণমাধ্যম। এতে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। আন্তর্জাতিক কোনো ভুঁইফোড় সংগঠন বাংলাদেশ নিয়ে নেতিবাচক খবর করলে দেশীয় গণমাধ্যম সেটি ফলাও করে প্রচার করে। তিনি বলেন, সংবাদ অবশ্যই প্রকাশ করতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে সেটি যেন নেতিবাচক প্রভাব না ফেলে। গণমাধ্যমের উচিত সাদাকে সাদা বলা আর কালোকে কালো বলা।
বিএনপি দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে অভিযোগ করে মন্ত্রী বলেন, তাদের দলের নেতা বিদেশে থেকে পেইড এজেন্টের মাধ্যমে দেশ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালায়। আর দেশের মানুষ সেটি দেখে বিভ্রান্ত হয়। তারা পদ্মা সেতু নিয়ে গুজব ছড়িয়েছিল, করোনার টিকা নিয়ে অপপ্রচার চালিয়েছিল। এখন আবার শুরু করেছে ভারতীয় পণ্য বর্জন। এগুলোর বিরুদ্ধে মূলধারার গণমাধ্যমকে সোচ্চার হতে হবে।
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি এখন শুরু করেছে ভারতীয় পণ্য বর্জন। নেতারা সন্ধ্যায় ভারতীয় পেঁয়াজ দিয়ে পিয়াজু খায়, রাতে ভারতীয় গরুর মাংস দিয়ে সেহরি খায়। বউকে নিয়ে যখন বাইরে যায় তখন বউ ভারতীয় শাড়ি পরে বের হয়। আর ওনারা (বিএনপি) বলে ভারত বর্জনের কথা।
আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভারতের কাশ্মিরে যখন পাকিস্তানি সৈন্যের আক্রমণে ভারতীয় সৈন্যরা হতাহত হলো তখন ভারতের প্রধান বিরোধীদলীয় নেত্রী সোনিয়া গান্ধী সরকারকে নিঃশর্ত সমর্থন দিলেন যে এই সংকট মোকাবিলায় আমরা সরকারের পাশে আছি। অন্যান্য রাজনৈতিক দলও সরকারের পাশে থাকার অভিপ্রায় ব্যক্ত করলো। আর আমাদের দেশে যখন পাশের দেশ মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীরা পালিয়ে আসে—তখন বিএনপি নেতারা বিবৃতি দেয় নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে ওরা পালিয়ে এসেছে। আরে, ওখানে গোলাগুলি হচ্ছে ওরা (মিয়ানমার সৈন্য) প্রাণভয়ে পালিয়ে এসেছে। এর সঙ্গে পররাষ্ট্রনীতির কী সম্পর্ক?’
সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন, সাংবাদিক নেতা ওমর ফারুক, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব মনজুরুল আহসান বুলবুল, ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন্স রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি হাসান মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক মাহামুদুল হক সুজন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...