আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির গত এক মাসের আয়ের টাকার লাভের অংশ থেকে ১৫০ জনের পাওনা টাকা ফেরত দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির সিইও মোহাম্মদ রাসেল। আজ রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের প্রধান কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ইভ্যালির গ্রাহকদের পাওনা টাকা ফেরত প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন মোহাম্মদ রাসেল।
তিনি বলেন, ইভ্যালির গত একমাসের আয়ের টাকার লাভের অংশ থেকে ১৫০ জনের পাওনা টাকা ফেরত দেয়া হচ্ছে।
ভোক্তাদের পাওনা ফেরত দেয়ার বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে যারা অভিযোগ করেছেন, তারাও টাকা ফেরত পাবেন এবং যারা করেনি তারাও টাকা পাবে।
বর্তমানে ক্রেতার প্রতারিত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই মন্তব্য করে ইভ্যালির সিইও বলেন, পণ্য হাতে পাওয়ার পর টাকা পরিশোধ করা যাবে। একসঙ্গে সবার টাকা চাইলে এবং বেধে রাখলে, টাকা ফেরত দেয়া সম্ভব না। তবে সঠিকভাবে ব্যবসা করতে দিলে গ্রাহকের পাওনা টাকা ফেরত দেয়া সম্ভব।
অনুষ্ঠানে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করতে হলে ই-কমার্সের ব্যবসার অগ্রগতি বাড়াতে হবে। তবে তা হতে হবে সঠিক পন্থায়। অনেক ব্যবসায়ী অর্থপাচার করেছে এবং দেশের বাইরে পালিয়ে গেছে। বর্তমানে ভোক্তা অধিদফতরে ১১ হাজার মামলা পেন্ডিং রয়েছে।
ইভ্যালির সিইও ২৭ মাস নয়, ২৭ বছর কারাগারে থাকলেও গ্রাহকের টাকা দিতে পারবেন না, তাই তাদের সঠিক পন্থায় ব্যবসা করতে দেয়া উচিত বলে মনে করে ভোক্তা অধিকারের মহাপরিচালক।
তিনি বলেন, যে সব ই-কমার্স ব্যবসায়ীরা গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা করছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) মাধ্যেমে তাদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।
ইভ্যালির গ্রাহকদের অর্থ পরিশোধের বিষয়ে এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ইভ্যালির ১৫০ গ্রাহককে আজ ১৫ লাখ টাকা দেয়া হচ্ছে।