মে ২০, ২০২৪

দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি আর কল্যাণ কামনায় আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। মোনাজাত পরিচালনা করেন কাকরাইল মসজিদের ইমাম ও তাবলিগ জামাতের মুরব্বি মাওলানা মুহাম্মদ জুবায়ের আহমেদ। মোনাজাতে অংশ নিতে সকাল থেকে টঙ্গীর তুরাগতীর ও আশপাশের এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়। এদিকে, বার্ধক্যজনিত কারণে এ পর্যন্ত ১৩ মুসল্লীর মৃত্যু হয়েছে।

লাখো মুসুল্লির কণ্ঠে আল্লাহুম্মা আমিন ধ্বনিতে মুখর টঙ্গীর তুরাগ তীর ও তার আশপাশের এলাকা।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা, আত্মশুদ্ধি, রহমত এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় আকুতি জানান ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। শেষে দেশ-জাতি ও মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ ও শান্তি কামনা করা হয়।

ভোর থেকে প্রচণ্ড শীত ও কুয়াশা উপেক্ষা করে গাজীপুর এবং রাজধানী ও আশপাশ এলাকার লাখ লাখ মুলল্লি আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে ইজতেমা স্থলে পৌঁছান। যানবাহন না পেয়ে অনেকে পায়ে হেঁটেই যান ময়দানে। সকাল থেকেই তুরাগ তীর ছাপিয়ে জনস্রোত মিশে যায় আশপাশের সড়ক-মহাসড়কে। বিপুল সংখ্যক নারীও অংশ নেন মোনাজাতে।

এর আগে, ফজরের নামাজ পরে পবিত্র কোরআন-হাদিসের আলোকে চলে হেদায়েতি বয়ান। গেলো তিনদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অবিরাম দেশ-বিদেশের খ্যাতনামা আলেমরা বিভিন্ন ভাষায় বয়ান দেন। চলে জিকির-আসকার ও ইবাদত-বন্দেগি।

শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে ইজতেমা ময়দানে মারা যান আরও চার মুস‌ল্লি। এ নিয়ে ইজতেমায় ১৩ জনের মৃত্যু হলো। মারা যাওয়া চার মুসল্লি হলেন- রাজবাড়ী জেলার মো. সানোয়ার, চট্টগ্রামের মো. আলম, নরসিংদী জেলার মো. শাহনেওয়াজ ও সিরাজগঞ্জ জেলার আল মাহমুদ।

এদিকে, যাতায়াত সুবিধার জন্য ১৪টি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়। তবে মুসল্লিরা জানান, ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হলে ইজতেমা শেষে ফিরে যেতে ভোগান্তি কম হতো।

আখেরী মোনাজাত উপলক্ষে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের আব্দুল্লাহপুর থেকে ভোগড়াও ও আব্দুল্লাহপুর থেকে বাইপাইল পর্যন্ত মহাসড়কে গণপরিবহন ও যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়।

চারদিন বিরতির পর ৯ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি হবে ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। অংশ নেবেন দিল্লির মাওলানা সা’দ কান্ধলভীর অনুসারীরা। ১৯৬৭ সাল থেকে টঙ্গীতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে তাবলীগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমা।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *