ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪

তৃতীয়বারের মতো রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। ১৫৫ কেন্দ্রের বেসরকারি প্রাথমিক ফলাফলে আওয়ামী লীগের এ প্রার্থী পেয়েছেন ১ লাখ ৫৯ হাজার ৭৯৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলনের মুরশিদ আলম ফারুকী পেয়েছেন ১৩ হাজার ৩৯৩ ভোট।

বুধবার (২১ জুন) রাত পৌনে ৯টার দিকে নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইভিএমে চলে ভোটগ্রহণ।

রাজশাহী সিটি নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২। এর মধ্যে নতুন ভোটার সংখ্যা ৩০ হাজার ১৫৭। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭১ হাজার ১৬৭ জন, নারী ভোটার ১ লাখ ৮০ হাজার ৮০৯ জন। হিজড়া ভোটার ৬ জন।

এই সিটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম ও জাকের পার্টির প্রার্থী লতিফ আনোয়ার মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।

উল্লেখ্য, গত ১২ জুন (সোমবার) নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না থাকার অভিযোগ তুলে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অনুসারে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুরশিদ আলম ফারুকী।

এদিকে, লিটন পুনরায় মেয়র নির্বাচিত হওয়ায় কর্মসূচি ঘোষণা করেছে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ। কর্মসূচি অনুযায়ী আগামীকাল বেলা ১১টায় নগরীর কুমারপাড়ায় মহানগর আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের স্বাধীনতা চত্বরে বঙ্গবন্ধুসহ জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। এরপর দলীয় কার্যালয়ে নবনির্বাচিত মেয়রকে দলের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে।

২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো এই শহরের মেয়র নির্বাচিত হন খায়রুজ্জামান লিটন। এরপর ২০১৩ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের কাছে পরাজিত হন তিনি। তবে, ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির বুলবুলকেই আবার বড় ব্যবধানে পরাজিত করে লিটন ফের মেয়র হন।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...