মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, আশা করছি ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে আগামী সোমবার নাগাদ যুদ্ধবিরতি শুরু হবে। তবে আমরা চুক্তির কাছাকাছি আছি। এখনও চুক্তির কাজ সম্পন্ন হয়নি।
যুদ্ধবিরতি চুক্তি কবেনাগাদ শুরু হবে এমন প্রশ্নের জবাবে বাইডেন সোমবার এ কথা বলেন।
যুদ্ধবিরতির এ চুক্তিতে হামাসের কাছে আটক বেশকিছু সংখ্যক জিম্মি মুক্তির বিনিময়ে ইসরাইলে থাকা ফিলিস্তিনি বন্দিদের ছেড়ে দেওয়ার কথা রয়েছে।
ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির জন্য মিসর, কাতার, যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সসহ অন্যরা প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে। আলোচনা এখনো চলছে। তারা ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি এবং হামাসের কাছে থাকা ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তি নিয়ে কাজ করছেন। একই সঙ্গে ইসরাইলে আটক শত শত ফিলিস্তিনি বন্দিকেও মুক্তি দেওয়া নিয়ে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইসরাইলি কর্মকর্তা আলোচনা ইতিবাচক দিকেই যাচ্ছে বলে আভাস দিয়েছেন।
কিন্তু ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জোর দিয়ে বলেছেন, যে কোনো যুদ্ধবিরতিই গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় স্থল অভিযানকে বিলম্বিত করবে, কিন্তু প্রতিহত করতে পারবে না। কারণ, হামাসের বিরুদ্ধে পুরো জয়ের জন্যে সেখানে অভিযান চালানো প্রয়োজন।
এদিকে ইসরাইল গত পাঁচ মাস ধরে গাজার সকল শহর এল্কায় অভিযান চালিয়ে আসছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় ১৪ লাখ ফিলিস্তিনি এখন রাফায় আশ্রয় নিয়েছে।
নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে সোমবার বলা হয়েছে, রাফা থেকে বেসামরিক ফিলিস্তিনীদের সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা ইসরাইলের সামরিক বাহিনী যুদ্ধকালীন কেবিনেটকে দেখিয়েছে।
তবে বাস্তুচ্যুত এসব লোক কোথায় যাবে তা নিয়ে কিছু বলা হয়নি।