সাহিত্যনির্ভর ছবির মুখ্য ভূমিকায় রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পাচ্ছে তার অভিনীত সিনেমা ‘ও অভাগী’। ২৯ মার্চ বড়পর্দায় মুক্তি পাবে এই ছবিটি। শনিবার মুক্তি পেয়েছে সিনেমার ট্রেলার।
সিনেমাটির গল্প শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘অভাগীর স্বর্গ’ থেকে অনুপ্রাণিত। নারীকেন্দ্রিক এ গল্পে মিথিলা এক প্রতিবাদী ও রহস্যময়ী নারী চরিত্র। যাকে ঘিরেই সিনেমার গল্প। সিনেমায় উঠে এসেছে কিশোরী থেকে শুরু করে এক মায়ের সংগ্রামের ইতিবৃত্ত।
শনিবার যে ট্রেলার মুক্তি পেয়েছে, সেখানে নজর কাড়লেন মিথিলা। তার কথাবার্তার টান থেকে শুরু করে গ্রাম্য এক বধূর নিখুঁত অভিনয় দর্শকদের মনে করিয়ে দিতে বাধ্য কয়েক যুগ আগের কথা। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘অভাগীর স্বর্গ’ পড়া নেই, এমন মানুষ বোধ হয় মেলা ভার। সেই গল্পকেই নতুন মোড়কে তুলে ধরা হয়েছে। তবে চিত্রনাট্যের কারণে গল্পের চিত্রনাট্যে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনতে হয়েছে। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
ট্রেলারে দেখা যায়, শাড়ি পরে মাঠে-ঘাটে ঘুরে বেড়ানো দস্যি মেয়েটার একদিন বিয়ে হয়ে যায়। মেয়ের কাণ্ড দেখে তাকে তার বাবা বলত, ‘এত ধিঙ্গিপনা চলবে না, বরের ঘরে গেলে খেদায়ে দেবে তোরে।’ সেই মেয়েরই একদিন বিয়ে হয়ে যায়। মাঠে ঘাটে ঘুরে বেড়ানো সেই মেয়েই বিয়ের পরে হয়ে উঠে ‘সতী’। যদিও তার বরের চরিত্রের কথা… থাক তা আর না বলাই ভালো…। এমনকি অভাগীকে বিছানায় পাওয়ার জন্য ওতপেতে থাকে গ্রামের জমিদার। এদিকে একদিন অসুস্থ অভাগী স্বপ্ন দেখে, বলে- ‘মৃত্যুর রাজা তুমি যমরাজ। আমি তোমার কাছে নিজেরে সঁপিছি। নিয়ে চলো আমারে। তোমার সঙ্গে স্বগ্গে যাব।’ সে দেখে সে কাঠ সাজানো চিতায় শুয়ে আছে। ছেলে তার মুখাগ্নি করছে। এমনই একটা গল্প উঠে এসেছে ছবির ট্রেলারে।
মিথিলা বলেন, ‘এই সমাজে নারীদের ওপর শোষণ চলে। আর সেই নারী যদি দলিত শ্রেণির হয়, তাহলে তাদের ওপর যে শোষণ হয়, ও অভাগী ছবিতে তারই প্রতিচ্ছবি দেখা যাবে। তাই অভাগীর মতো নারীরা যমকে নিয়েই স্বপ্ন দেখে। তারা জানে এই পৃথিবীতে তাদের স্বপ্ন দেখতে নেই।’
ছবিতে মিথিলা ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় রয়েছেন- সুব্রত দত্ত, দেবযানী চট্টোপাধ্যায়, ঈশান মজুমদার, সায়ন ঘোষ, জিনিয়া পাণ্ডে, কৃষ্ণা বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌরভ হালদার। ছবিটি পরিচালনায় সঙ্গে চিত্রনাট্যও লিখেছেন অনির্বাণ চক্রবর্তী। সিনেমাটোগ্রাফির দায়িত্বে ছিলেন মলয় মণ্ডল। ছবির সম্পাদনার দায়িত্বে ছিলেন সুজয় দত্ত রায়, সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়। গান গেয়েছেন লগ্নজিতা চক্রবর্তী, রূপঙ্কর বাগচী, চন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায়, অনিমেষ রায় এবং অনির্বাণ রায় আকাশ।