ডিসেম্বর ২২, ২০২৪

লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগে দেশবাসীর উদ্দেশে একটি খোলা চিঠি লিখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি ৩৭০ ধারা বাতিল এবং জিএসটি বাস্তবায়নসহ তার সরকারের নেওয়া কিছু ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের তালিকা করেছেন। তাতে জনগণের সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

জনগণের সঙ্গে তার সম্পর্ক যখন এক দশক পূর্ণ করার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে তখন তিনি একটি ‘বিকশিত ভারত’ বা উন্নত ভারতের সংকল্প পূরণে সহায়তা করার পরামর্শ চেয়েছেন জনগণের কাছে।

‘আমার প্রিয় পরিবারের সদস্য’ হিসাবে নাগরিকদের সম্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ১৪০ কোটি ভারতীয়দের আস্থা এবং সমর্থন তাকে অনুপ্রাণিত করে। তার সরকার দরিদ্র, কৃষক, যুবক ও নারীদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়েছে।

তিনি বলেন, গত ১০ বছরে তাদের জীবনে যে পরিবর্তন এসেছে তা হলো তার সরকারের সবচেয়ে বড় অর্জন।

মোদি লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মাধ্যমে পাকা ঘর, সবার জন্য বিদ্যুৎ, পানি এবং এলপিজি অ্যাক্সেস, আয়ুষ্মান ভারতের মাধ্যমে বিনামূল্যে চিকিৎসা, কৃষকদের আর্থিক সাহায্য, মাতৃ বন্দনা যোজনার মাধ্যমে নারীদের সহায়তা সফলতার মুখ দেখেছে। শুধুমাত্র আপনি আমার উপর যে আস্থা রেখেছেন তার কারণে।

ভারত ঐতিহ্য এবং আধুনিকতা উভয়ের দিকেই লক্ষ্য রেখে এগিয়ে চলেছে বলে জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছিলেন, দেশটি পরবর্তী প্রজন্মের অবকাঠামোর ‘অভূতপূর্ব নির্মাণ’ এবং ‘আমাদের সমৃদ্ধ জাতীয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের পুনরুজ্জীবন’ উভয়ই দেখেছে।

তিনি বলেন, দেশের জনগণের আস্থা ও সমর্থনের কারণে আমরা জিএসটি বাস্তবায়ন, ৩৭০ ধারা বাতিল, তিন তালাকের নতুন আইন, সংসদে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য নারী শক্তি বন্ধন আইন, একটি নতুন সংসদ উদ্বোধনের মতো অনেক ঐতিহাসিক এবং বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারি। নতুন সংসদ ভবন সন্ত্রাসবাদ ও বামপন্থি উগ্রবাদের বিরুদ্ধে শক্তিশালী পদক্ষেপ।

প্রধানমন্ত্রী তার চিঠিতে যোগ করেছেন, গণতন্ত্রের সৌন্দর্য নিহিত রয়েছে জনগণের অংশগ্রহণে। আপনাদের সমর্থনই আমাকে দেশের কল্যাণে সাহসী সিদ্ধান্ত নিতে, উচ্চাকাঙক্ষী পরিকল্পনা তৈরি করতে এবং সেগুলোকে সুচারুভাবে বাস্তবায়ন করার শক্তি জোগায়। আমরা প্রকৃতপক্ষে আপনার ধারণা, পরামর্শ এবং সমর্থনের জন্য অপেক্ষা করছি যখন আমরা একটি বিকশিত ভারত গড়ার সংকল্প বাস্তবায়নে কাজ করছি। আমি আত্মবিশ্বাসী যে আমরা আমাদের দেশকে একসঙ্ড়ে মহান উচ্চতায় নিয়ে যাব।

অবশ্য নির্বাচনের দিন ঘোষণার ঠিক আগে প্রধানমন্ত্রীর এই চিঠি সরকারিভাবে নির্বাচনি প্রচার হিসেবে দেখছে বিরোধীরা।

নিয়ম অনুযায়ী আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের দিন ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই লাগু হয়ে যায় আদর্শ আচরণবিধি। এরপর থেকে সরকারিভাবে কোনো রকম প্রচার আইন বিরুদ্ধ। তাই পরিকল্পিতভাবে ভোট ঘোষণার আগেই খোলা চিঠির মাধ্যমে ভোটের প্রচার সারছেন প্রধানমন্ত্রী, এমনই অভিযোগ বিরোধীদের।

সূত্র: এনডিটিভি

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...