রাজধানীর দক্ষিণখানে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনায় তিন কিশোর নিহত হয়েছে। তারা হলো– রবিউল ইসলাম, মো. জুনায়েদ ও ওমর ফারুক। শুক্রবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে একজন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পর দু’জনের মৃত্যু হয়। তাদের বয়স ১৫–১৬ বছর। তারা তিনজনই মাদ্রাসার ছাত্র ছিল।
দক্ষিণখান থানার ওসি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, একই মোটরসাইকেলে চড়ে যাচ্ছিল তিন বন্ধু। তাদের মধ্যে ফারুক মোটরসাইকেল চালাচ্ছিল, অপর দু’জন তার পেছনে বসে ছিল। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আশকোনার আশিয়ান সিটি এলাকায় মোটরসাইকেলটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে চালক। তখন রাস্তায় ছিটকে পড়ে তিনজনই গুরুতর আহত হয়। তাদের মধ্যে রবিউল ঘটনাস্থলেই মারা যায়। অপর দুজনকে নেওয়া হয় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জুনায়েদের মৃত্যু হয়। আর অবস্থার অবনতি হওয়ায় ফারুককে নেওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। শেষপর্যন্ত তাকেও বাঁচানো যায়নি।
ওসি জানান, বেপরোয়া গতিতে চালানোর কারণেই দুর্ঘটনা ঘটে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে যায়। পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
নিহত ওমর ফারুকের পরিচিত মোহাম্মদ হোসেন জানান, আশকোনার একটি মাদ্রাসার কিতাব বিভাগের ছাত্র ছিল ফারুক। তার বাবার নাম মো. রাজন। নারায়ণগঞ্জের রুপসী এলাকায় থাকে তার পরিবার। আর ফারুক ওই মাদ্রাসায় থেকেই পড়ালেখা করত।
দক্ষিণখান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গাজী সালাহউদ্দিন জানান, শুক্রবার ওই মাদ্রাসায় ওয়াজ মাহফিল ও পাগড়ি প্রদান অনুষ্ঠান ছিল। এই উপলক্ষে ফারুকের বাবা তার মোটরসাইকেল নিয়ে মাদ্রাসায় এসেছিলেন। অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে বাবার কাছ থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে বেড়াতে বের হয় তিন বন্ধু। মোটরসাইকেলটি বেশ ভারী গোছের, ফারুকের মতো কিশোরের পক্ষে সেটার নিয়ন্ত্রণ কঠিন ছিল। এর মধ্যে দুজন আরোহী নিয়ে সে আশিয়ান সিটির ফাঁকা এলাকায় খুব জোরে চালাচ্ছিল। ফলে শেষপর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে। পরে দুঃসংবাদ পেয়ে নিহত অপর দুজনের স্বজনরাও হাসপাতালে ছুটে আসেন।