নভেম্বর ২৪, ২০২৪

বিজ রিপোর্ট

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং আজ সোমবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশে আঘাত হানবে। ভারতে আঘাত হানার সম্ভাবনা নেই। সব থেকে বেশি আঘাত হানবে বরগুনা এবং পটুয়াখালী জেলায়।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান সোমবার (২৪ অক্টোবর) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

আবহাওয়াবিদদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের বরাতে তিনি বলেন, ‘সিত্রাং সিভিয়ার সাইক্লোন হিসেবে রুপ নিয়েছে। সন্ধ্যার মধ্যে উপকূলে আঘাত হানবে। কেন্দ্র আঘাত করবে ভোর ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে। এটা পুরোপুরি বাংলাদেশ ভূখণ্ডে আঘাত হানবে। ভারতে আঘাত করার কোনো সম্ভাবনা নাই।

‘উপকূলীয় ১৩ জেলায় মারাত্মক ও ২ জেলায় হালকা আঘাত হানবে। তবে বরগুনার পাথরঘাটা ও পটুয়াখালীর কলাপাড়া সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’

এনামুর রহমান বলেন, ‘উপকূলে ৭ হাজার ৩০ সেল্টার প্রস্তুত করা হয়েছে। সকাল থেকেই মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হচ্ছে। আমরা আম্ফানে ২৪ লাখ সরিয়েছিলাম। এবার ২৫ লাখ সরানোর লক্ষ্য রাখা হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগে বেশি আঘাত হানবে। চট্টগ্রাম বিভাগের মহেশখালী, সন্দ্বীপ বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। সেখান থেকে মানুষ সরাতে কাজ চলছে।সিডর ছিলো সুপার সাইক্লোন। এটা সিভিয়ার সাইক্লোন।’

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, একজন মানুষও যদি মারা না যান সেটি হলো সবচেয়ে বড় সফলতা। পাশাপাশি, তাদের গবাদি পশুগুলোকেও সেন্টারে আনতে বলা হয়েছে। প্রতি জেলায় ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি ড্রাই কেক ও বিস্কুট পাঠানো হয়েছে শুকনা খাবার হিসেবে। দুর্যোগে বিদ্যুৎ ও টেলি যোগাযোগ ব্যবস্থা ঠিক রাখতে বলা হয়েছে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং সোমবার সন্ধ্যা থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত আঘাত হানবে। আঘাত হানা ১৩টি জেলার মধ্যে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী এবং ফেনী রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘অর্থাৎ চট্টগ্রাম, খুলনা এবং বরিশাল বিভাগের বেশিরভাগ জায়গায় এটি আঘাত হানবে এবং চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারের দ্বীপ অঞ্চলগুলোতেও বিশেষ করে মহেশখালী, সন্দীপ এগুলো ঝুঁকিপূর্ণ আছে। এগুলোতে লোক সরানোর জন্য আমরা নির্দেশনা দিয়েছি। ইতোমধ্যে আমাদের মানবিক সহায়তা পৌঁছে গেছে।’

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...