ফিনান্সিয়াল ফেয়ার প্লে বা আর্থিক সংগতি নীতিমালা ভেঙে বড় রকমের শাস্তির মুখে পড়ছে ইউরোপের দুই জায়ান্ট ক্লাব বার্সেলোনা এবং ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ইউরোপিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা দুই ক্লাবের উপর বড় অঙ্কের জরিমানার কথা নিশ্চিত করেছে। আর্থিক অসঙ্গতির জন্য শাস্তি হিসেবে বার্সেলোনাকে ৫ লাখ ইউরো আর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ৩ লাখ ইউরো জরিমানা করা হয়েছে।
উয়েফার পক্ষ থেকে দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়, ইউনাইটেড তাদের প্রতিবেদনে কিছুটা ঘাটতি দেখিয়েছে যা অসত্য। যার কারণে তাদের তিন লাখ ইউরো জরিমানা করা হয়েছে। তবে স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনার বিপক্ষে কিছুটা গুরুতর। উয়েফা জানায়, ২০২২ সালে আর্থিক ফলাফলের রিপোর্ট ভুল করেছিলো স্প্যানিশ ক্লাবটি।
অস্তিত্ব নেই এমন সম্পদ থেকেও আয়ের উৎস দেখিয়েছিলো কাতালুনিয়ার ক্লাবটি। এমন আয় উয়েফার নীতিমালার বিরুদ্ধে বলে উল্লেখ করা হয়েছে সংস্থাটির পক্ষ থেকে। যার সুবাদে ৫ লাখ ইউরো জরিমানা দিতে হবে বার্সেলোনাকে।
জরিমানার বিষয়টি নিশ্চিত হবার পর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে ম্যানচেস্টা ইউনাইটেড জানায়, ‘হতাশ হলেও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এই জরিমানা মেনে নিয়েছে। উয়েফা জানিয়েছে, অতীতে আমরা আর্থিক সংগতি নীতির নিয়ম কিছুটা ভঙ্গ করায় এই শাস্তি দেওয়া হয়েছে।’
তবে জরিমানা বা শাস্তির মুখে পড়লেও কোন প্রকার বহিস্কারের মুখোমুখি হচ্ছেনা এই দুই ক্লাব। আগামী মৌসুমে ঘরোয়া লিগ কিংবা উয়েফা আয়োজিত চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলতে পারবে দুই দলই।
বার্সেলোনা ও ইউনাইটেড ছাড়াও সাইপ্রাসের দল অ্যাপোয়েল ও তুরস্কের ক্লাব কোনিয়াস্পোরকে ১ লাখ ইউরো করে জরিমানা করেছে উয়েফা। দুটি ক্লাবই ইউনাইটেডের মতো নিয়ম ভেঙেছে। এ ছাড়া জরিমানা গুনতে হচ্ছে তুরস্কের দল ইস্তাম্বুল বাসাকশেহির ও ত্রাবজোনস্পোর, বেলজিয়ামের দল লয়্যাল অ্যান্টেওয়ার্প আর আন্ডারলেখটকে।
এর আগে, গত বছর, ফ্রান্সের পিএসজি, ইতালির এসি মিলান, ইন্টার মিলানসহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি বড় ক্লাব গত সেপ্টেম্বরে উয়েফার বিধান মেনে আর্থিক সংগতি নীতি ঠিক করে নিয়েছে। যদিও এই ক্লাবগুলোকে আগামী মৌসুমে আবারও নজরে রাখা হবে বলে জানিয়েছে উয়েফা।