জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় খসড়া তামাক নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন ২০২৩ দ্রুত পাশের দাবি জানিয়েছে অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স (আত্মা)। আজ বুধবার (২১ জুন) রাজধানীর বিএমএ ভবনে আত্মা’র এক সভায় এই দাবি জানানো হয়।
সভায় জানানো হয় খসড়া সংশোধনী থেকে ই-সিগারেট ও ভেপিংজাতীয় পণ্য নিষিদ্ধের প্রস্তাব বাদ দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে কোম্পানিগুলো। নীতি-প্রণেতাদের বিভ্রান্ত করতে এমনকি তারা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক তামাকবিরোধী সংস্থাকে ঘিরে মিথ্যা তথ্য প্রচার করছে। উল্লেখ্য, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ই-সিগারেট ও ভেপিংজাতীয় পণ্যকে ‘মারাত্মক স্বাস্থ্য হুমকি’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে এবং ইতোমধ্যে ভারত, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুরসহ ৩২টি দেশ এসব পণ্য নিষিদ্ধ করেছে।
বর্তমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে বৈশ্বিক সর্বোত্তম কাতারে নিয়ে যেতে খসড়ায় বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ ধারা অন্তর্ভুক্ত করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তারমধ্যে অন্যতম হচ্ছে, সকল পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ‘ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান’ রাখার বিধান বিলুপ্ত করা; বিক্রয়স্থলে তামাকজাত দ্রব্য বা প্যাকেট প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা; তামাক কোম্পানির সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা; সব ধরনের খুচরা বা খোলা তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় নিষিদ্ধ করা; ই-সিগারেট, ভ্যাপিং, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ এধরনের সকল পণ্য উৎপাদন, আমদানি ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ করা; এবং তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেট বা মোড়কে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার ৫০ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ৯০ শতাংশ করা।
আত্মা’র সভায় জানানো হয় খসড়া সংশোধনীটি পাশ হতে যত দেরি হবে, তামাকজনিত মৃত্যু ও ক্ষয়ক্ষতি ততই বাড়তে থাকবে। একইসঙ্গে, তামাক কোম্পানি ও তাদের স্বার্থ সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মিথ্যা অপপ্রচারে নীতিপ্রণেতাদের বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে গণমাধ্যম কর্মীদের সংগঠনটি।
সভায় ৪০ জন সদস্যের উপস্থিতিতে সংগঠনের কার্যক্রম এবং করণীয় বিষয়ে আলোকপাত করেন আত্মা’র কো-কনভেনর মিজান চৌধুরী এবং প্রজ্ঞা’র মেহেদি হাসান। বিশেষ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস (সিটিএফকে) বাংলাদেশ’র লিড পলিসি অ্যাডভাইজর মো. মোস্তাফিজুর রহমান, আত্মা’র কনভেনর মতুর্জা হায়দার লিটন, কো-কনভেনর নাদিরা কিরণ এবং সদস্যসচিব এবিএম জুবায়ের প্রমুখ।