

চার হাজার ৬২১ জন ঋণগ্রহীতার ৮ হাজার ৪০৪ কোটি টাকা সুদ মওকুফ করেছে ৯ ব্যাংক। এর মধ্যে ৬টি রাষ্ট্রায়ত্ত ও ৩টি বিশেষায়িত ব্যাংক রয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
রোববার (১১ জুন) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মশিউর রহমান রাঙার এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে অর্থমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ছয় ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে অগ্রণী ব্যাংক, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংক। এছাড়া বিশেষায়িত বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক এই তালিকায় রয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, তফসিলি ব্যাংকের মূল ঋণ মওকুফের কোনো সুযোগ নেই। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর সুদ মওকুফের সুবিধার সঙ্গে কোনো ব্যাংকের দেউলিয়া হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।
তিনি আরও বলেন, গ্রাহকের অনুকূলে সুদ মওকুফ সুবিধা প্রদান করতে পারে। ঋণ আদায়ের স্বার্থে গ্রাহকের বিভিন্ন নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত কারণে সুদ মওকুফ সুবিধা প্ৰদান করা হয়ে থাকে। বন্ধ প্রকল্প হতে ঋণ আদায়, ঋণের জামানত, সহজামানত, প্রকল্প সম্পত্তি এবং প্রকল্প উদ্যোক্তাদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি বিক্রির পরেও পাওনা আদায়ের সম্ভাবনা না থাকলে সুদ মওকুফ সুবিধা প্রদান করা হয়। পাওনা আদায়ের লক্ষ্যে আইনগত ব্যবস্থাসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাদি গ্রহণের পরেও পাওনা আদায় না হলে সুদ মওকুফ সুবিধা প্রদান করা হয়। ঋণগ্রহীতার মৃত্যু অথবা প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মহামারী, মড়ক, নদী ভাঙন বা দুর্দশাজনিত কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ঋণগ্রহীতাকে সুদ মওকুফ সুবিধা প্রদান করা হয়।
ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্যদ ২০২২ সালে ৪ হাজার ৬২১ জন গ্রাহকের অনুকূলে ৮ হাজার ৪০৪ কোটি ৫২ লাখ টাকার সুদ মওকুফ প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। এছাড়া গত বছরের (২০২২ সাল) ব্যাংকগুলোর ১ হাজার ৬২০ কোটি ৮৩ লাখ টাকার সুদ মওকুফ সুবিধা কার্যকর হয়েছে। বাংলাদেশে কার্যত তফসিলি ব্যাংকগুরোর জন্য সুদ মওকুফ সংক্রান্ত নীতিমালা জারি আছে। সেই নীতিমালা অনুযায়ী তফসিলি ব্যাংকের আসল ঋণ মওকুফ করার কোনো সুযোগ নেই।