সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪

২০২৩ সালে নিহত ৯৯ সাংবাদিকের মধ্যে ৭৭ জন ইসরাইল-হামাস যুদ্ধে মারা গেছেন। এক দশকের মধ্যে মিডিয়ার জন্য গত এক বছর ছিল সবচেয়ে ভয়ানক বছর। কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্ণালিস্টস বৃহস্পতিবার একথা জানিয়েছে।

সিপিজে বলেছে, সোমালিয়া এবং ফিলিপাইনে প্রাণহানি স্থিতিশীল থাকলেও বিশ্বব্যাপী সাংবাদিকদের হত্যার ঘটনা বছরের পর বছর কমে যেত যদি ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে ৭৭ সাংবাদিকের মৃত্যু না হতো।

২০১৫ সালের পর থেকে এটা সর্বোচ্চ এবং ২০২২ সালের পরিসংখ্যানে প্রায় ৪৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

সিপিজে বলেছে ‘ডিসেম্বর ২০২৩ সালের এক রিপোর্টে দেখা গেছে, একটি দেশে সারা বছরে যত বেশি সাংবাদিক মারা গেছে, ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধের প্রথম তিন মাসে তার চেয়ে বেশি সাংবাদিক নিহত হয়েছে।’

প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ইসরায়েল-হামাস সংঘর্ষে নিহত ৭৭ সাংবাদিকের মধ্যে ফিলিস্তিনেরই ৭২ জন। তিনজন লেবানিজ ও দুইজন ইসরায়েলিও রয়েছেন।
সিপিজে প্রধান নির্বাহী জোডি গিন্সবার্গ বলেছেন, ‘গাজার সাংবাদিকরা যুদ্ধের সামনের সারিতে ছিলেন।’

‘এই যুদ্ধে ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের যে বিশাল ক্ষতি হয়েছে তা শুধু ফিলিস্তিনি অঞ্চলে নয়, এই অঞ্চলে এবং তার বাইরেও সাংবাদিকতার জন্য দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলবে। নিহত প্রতিটি সাংবাদিক বিশ্ব সম্পর্কে আমাদের বোঝার জন্য আরও একটি দূর্ভাগ্য।’

৭ ফেব্রুয়ারি নিউইয়র্ক ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা সংস্থা বলেছে, গাজা সংঘাতে নিহত সাংবাদিকের সংখ্যা বেড়ে ৮৫ জনে দাঁড়িয়েছে।

সিপিজে এর আগে ইসরায়েলি বাহিনী কর্তৃক সাংবাদিকদের ওপর ‘নিপীড়ন’ বলে সমালোচনা করেছে এবং গাজা সংঘাতে নিহত এক ডজন সাংবাদিককে ইচ্ছাকৃতভাবে ইসরায়েলি সেনারা টার্গেট করেছে কিনা তা তদন্ত করছে। যা ছিল ‘একটি যুদ্ধাপরাধ’।

ইসরায়েলি সরকারি পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করে এএফপি-এর তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলে ৭ অক্টোবর হামাস হামলার প্রতিক্রিয়ায় হামাসকে নিশ্চিহ্ন করার প্রতিশোধমূলক পাল্টা হামলা চালালে প্রায় ১,১৬০ জন নিহত হয়। এদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।

সবচেয়ে ভয়াবহ হামলায় হামাস যোদ্ধারা প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করে এবং তাদের মধ্যে প্রায় ২৯ জনকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

হামাস নিয়ন্ত্রিত ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক সামরিক অভিযানে অন্তত ২৮,৫৭৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। এদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *