মে ৪, ২০২৪

রান ফর মিশন ২০৪১’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রথম মতো বারের অনুষ্ঠিত হলো ‘স্মার্ট বাংলাদেশ রান ২০২৪’ দৌড় প্রতিযোগিতা। এসপায়ার টু ইনোভেট-এটুআই এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এর আয়োজনে রাজধানী হাতিরঝিল এম্ফিথিয়েটারের সামনের অংশ হতে প্রতিযোগিতা শুরু হয়।

আজ শুত্রবার সকাল ৬টায় হাতিরঝিলের এম্ফিথিয়েটারের সামনের অংশ হতে শুরু হয়ে পুরো হাতিরঝিল ৭.৫ কি.মি. ঘুরে এম্ফিথিয়েটারে এসে দৌড় প্রতিযোগিতাটি সম্পন্ন হয়। এসময় নারী, পুরুষ, বয়স পঞ্চাশোর্ধ্ব ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এই চার বিভাগে সবমিলিয়ে ২০৪১ জন অপেশাদার দৌড়বিদ অংশ নেন। ৭.৫ কি.মি. ক্যাটাগরিতে আলাদা আলাদা ইভেন্টে অংশ নেন নারী-পুরুষ ও ৫০ বছরের বেশি বয়সের দৌড়বিদরা। আর ১ কি.মি. ক্যাটাগরিতে দৌড়ান প্রতিবন্ধী দৌড়বিদরা। চিপ টাইমিং সিস্টেমে ইভেন্টের বিজয়ী নির্ধারণ করা হয়।

সুস্থ-সবল নাগরিক তৈরিসহ স্মার্ট জাতি গড়ে তোলা ও মানুষের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশের ভিশন ২০৪১ নিয়ে সচেতনতা ও উৎসাহ বাড়ানোর লক্ষ্যে এই দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়-এর মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক, এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো: সামসুল আরেফিন।

প্রতিমন্ত্রী পলক নিজেও এই দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন এবং ৬৮ মিনিট সময় নিয়ে নির্ধারিত লক্ষ্য অতিক্রম করেন। দৌড় প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক। এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে প্রয়োজন সুস্থ-সবল, অসম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল চেতনার দেশপ্রেমিক স্মার্ট নাগরিক। স্মার্ট জাতি গড়ে তোলা ও মানুষের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশের ভিশন-২০৪১ নিয়ে সচেতনতা এবং উৎসাহ বাড়ানোর লক্ষ্যে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ হবে সকলের জন্য। সুস্থ স্বাভাবিক, বিশেষভাবে সক্ষম, নারী-পুরুষ, তৃতীয় লিঙ্গ, গ্রাম-শহর সকলকেই এই স্মার্ট রান তুলে ধরার চেষ্টা করেছে। তিনি বলেন, স্মার্ট রানের সময় যেমন ৭৫ মিনিট, তেমনি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্ধারণ করে দিয়েছেন ১৭ বছর। এই ১৭ বছরে আমাদের যার যার জায়গা থেকে যার যার দায়িত্বটা একজন দেশপ্রেমিক, প্রগতিশীল, উদ্ভাবনী ও সমস্যা সমাধানকারী নাগরিক হিসেবে পালন করবো এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবো।

চার বিভাগে সবমিলিয়ে ১৯ জন বিজয়ীকে আর্থিক পুরস্কার, সনদপত্র ও মেডেল প্রদান করা হয়। এছাড়া সকল দৌড়বিদদের রেস জার্সি ও মেডেল প্রদান করা হয়।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *