

চলতি বছর হজ আয়োজনে ব্যাপক কড়াকড়ি করছে সৌদি সরকার। এবার হজ ভিসায় নতুন বিধান আরোপ করেছে দেশটির প্রশাসন।
সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয় বলেছে, শুধু হজ ভিসা দিয়েই ২০২৪ সালে হজের আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নেওয়া তীর্থযাত্রীরা জেদ্দা, মদিনা এবং মক্কা শহরে ভ্রমণ করতে পারবে।
ঘোষণায় জোর দিয়ে বলা হয়, সৌদি আরবে কোনো কাজ করা, বসবাস বা নির্ধারিত শহরের বাইরে ভ্রমণের জন্য হজ ভিসা বৈধ নয়। এই বিধিনিষেধ লঙ্ঘনকারী ভবিষ্যতে হজে অংশ নেওয়ার অনুমতি নাও পেতে পারেন। তাকে দেশ থেকেও বের করে দেওয়া হতে পারে।
উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের দেশগুলো ছাড়া যে সকল আন্তর্জাতিক দর্শনার্থী হজ পালন করতে চান তাদের অবশ্যই হজ ভিসা নিতে হবে।
হজ ভিসা শুধুমাত্র হজ মৌসুমের জন্যই বৈধ। এই সময়ের মধ্যে হজ ভিসা নেওয়া ব্যক্তিদের ওমরাহ পালন বা যেকোনো ধরনের আর্থিক বা অবৈতনিক কাজের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে নতুন বিধিতে।
সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভিসা প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ইলেকট্রনিক রেজিস্ট্রেশন চালু করেছে হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
বৈধ ও অবৈধ হজযাত্রীদের চিহ্নিত করতে অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে সৌদি আরব। দেশটির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা বৈধ হজযাত্রীদের চিহ্নিত করতে এবারের হজ মৌসুমে প্রত্যেককে আলাদা করে একটি ডিজিটাল ট্যাগ দেওয়া হবে। মূলত, অবৈধ হজ পালন নিরুৎসাহিত করতেই দেশটির এই উদ্যোগ বলে জানা গেছে।
সৌদি আরবের হজ বিষয়ক মন্ত্রী তৌফিক আল-রাবিয়াহ চলতি সপ্তাহে ইন্দোনেশিয়ায় বৈধ হজযাত্রীদের জন্য একটি করে ডিজিটাল নুসুক কার্ড দেওয়ার প্রকল্প শুরু করেন। এই কার্ডগুলো ইন্দোনেশিয়া থেকে সৌদি আরব যাওয়া হজযাত্রীদের দেওয়া হবে।
ডিজিটাল এই নুসুক কার্ডে সংশ্লিষ্ট হজযাত্রীর প্রয়োজনীয় সব তথ্য মজুত থাকবে এবং হজের জন্য পবিত্র কাবার প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে চাইলে এই ডিজিটাল কার্ড অবশ্যই প্রদর্শন করতে হবে। এছাড়া হজের অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা পালনেও বিভিন্ন জায়গায় এই ডিজিটাল কার্ড দেখাতে হবে।
সংশ্লিষ্ট দেশের হজযাত্রীদের জন্য ভিসা ইস্যু করার পর এই কার্ডটি সংশ্লিষ্ট হজ অফিস বিদেশি হজযাত্রীদের কাছে হস্তান্তর করবেন এবং হজ পারমিট ইস্যু করার পর স্থানীয় সৌদি হজযাত্রীরা দেশটির সংশ্লিষ্ট সরকারি কার্যালয় থেকে এই কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন।