নাগরিক সেবা প্রাপ্তি সহজ করতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এবং ডাক অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ‘স্মার্ট সেবা’ প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে নাগরিক সেবা আরো সহজলভ্য ও জনবান্ধব করে তোলার পাশাপাশি ডিজিটাল ডিভাইড শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসতে এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
এছাড়াও, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের এসপায়ার-টু-ইনোভেট (এটুআই) এর কারিগরি সহযোগিতায় ন্যাশনাল ব্রডব্যান্ড পলিসি বাস্তবায়নের পাশাপাশি স্মার্ট বাংলাদেশ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাপ ‘সাথী’, মোবাইল এয়ারটাইম ভিত্তিক সরকারি সেবার ফি পরিশোধ, স্মার্ট আর্টিক্যাল কালেকশন (চিঠি, ডকুমেন্ট, পার্সেল), স্মার্ট মোবাইল ডাকঘর এবং স্মার্ট পোস্ট বক্সের মতো স্মার্ট সেবার পাইলট কার্যক্রমও শুরু করা হবে। আজ মঙ্গলবার ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক এমপি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের দায়িত্ব পাওয়ার পর গত ৬ ডিসেম্বর পৃথক এক সভায় স্মার্ট সেবা কার্যক্রমগুলো পরীক্ষামূলকভাবে চালু করার নির্দেশনা প্রদান করেন। একই সাথে তিনি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের এটুআই’র সহায়তায় ইতোপূর্বে আয়োজিত ‘স্মার্ট সার্ভিস ডিজাইন ল্যাব’ হতে উদ্ভূত সকল ধরনের স্মার্ট সেবা বাস্তবায়ন কার্যক্রম দ্রুততার সাথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যও নির্দেশ প্রদান করেন।
প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী স্মার্ট বাংলাদেশ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাপ ‘সাথী’ মূলত অ্যাপলের সিরি কিংবা আমাজনের অ্যালেক্সার’র মতোই একটি ভার্চ্যুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাপ হিসেবে চালু করা হচ্ছে। স্মার্ট নাগরিকের জন্য স্মার্ট সংযোগ, এটা এমন একটা সংযোগ ব্যবস্থা, যা হবে মানুষের সাথী বা পার্টনার। ‘স্মার্ট সংযোগ’ সব ধরনের তথ্য পেতেও সহায়ক হবে। এটুআই উদ্ভাবিত এআই প্রযুক্তির ‘সাথী’ অ্যাপ জিরো রেট এবং প্রতিটি মোবাইলে এই অ্যাপ ডাউনলোড করার জন্য বিটিআরসি সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করবে।
এই অ্যাপে সরকারের সব ধরনের ডিজিটাল সেবা, পেমেন্ট সেবা ইত্যাদি সংযুক্ত থাকবে। ফলে নাগরিকরা মোবাইল ব্যবহার করে আগের চেয়ে অনেক বেশি কাজ সহজে করতে পারবেন। এরইমধ্যে সাথী’র একটি প্রাথমিক ইন্টারফেস তৈরি করা হয়েছে। ‘সাথী’ মোবাইল নম্বর’র সঙ্গে ‘একীভূত’ করা থাকবে। মোবাইলে সিম চালু থাকলেই এটি সেটে সক্রিয় হবে না বরং মোবাইলে ইনস্টল করে নিতে হবে। তবে এটি ডাউনলোড করতে যাতে ব্যবহারকারীর কোনও ধরনের ডাটা (ইন্টারনেট) খরচ না হয় সেই ব্যবস্থাও থাকবে। সাথী যাতে মোবাইলে খুব বেশি জায়গা না নেয় সেটা নিয়েও ভাবা হচ্ছে। স্মার্ট ও ফিচার ফোন- দুই ফোনেই সাথী ব্যবহার করা যাবে। সাথীকে অ্যাপ স্টোর বা প্লে-স্টোর থেকে ডাউনলোড করে নিতে হবে।
সাথী একটি জিপিটি এনাবল এআই অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে মোবাইল ব্যবহারকারীদের সেবা প্রদান করতে আরো স্মার্ট হতে থাকবে। গ্রাহকের সুবিধার্থে ভবিষ্যতে ‘সাথী’র সঙ্গে চ্যাটবট যুক্ত করারও পরিকল্পনা রয়েছে বিটিআরসি’র। খবর বাসস।