মে ২০, ২০২৪

আগামী বছর চীনের অর্থনীতি কোন পথে পরিচালিত হবে— তার ওপর নজর রাখছে সারা বিশ্ব। গত ১৫ ও ১৬ ডিসেম্বর চীনের বার্ষিক কেন্দ্রীয় অর্থনৈতিক কর্ম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে বেইজিংয়ে। এতে চীনের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনার পাশাপাশি ২০২৩ সালের অর্থনৈতিক পরিকল্পনাও গ্রহণ করা হয়েছে।

সম্মেলনে বলা হয়েছে, আগামী বছর চীনের অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে এবং স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি অর্জনের প্রচেষ্টা চালানো হবে। গুণগত মানের উন্নয়নের পাশাপাশি পরিমাণের উপযোগী প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা হবে। সার্বিক সমাজতান্ত্রিক আধুনিক দেশ গঠনের জন্য ভালো পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এসব কথায় আগামী বছর চীনের অর্থনীতি কোন পথে পরিচালিত হবে-তার ইঙ্গিত পাওয়া যায়। শনিবার চায়না মিডিয়া গ্রুপের (সিএমজি) এক সম্পাদকীয়তে এসব লেখা হয়েছে।

সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, সম্মেলনের প্রতিবেদনে মোট ৩১ বার ‘স্থিতিশীলতা’ শব্দটি উল্লেখ করা হয়েছে। এতে চীনের প্রতি বিশ্বের আস্থা বৃদ্ধি পেয়েছে। বেশ কয়েকটি জরিপ থেকে জানা গেছে, বেশ কিছু কারণে ২০২২ সালে বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি শিথিল হয়েছে। ২০২৩ সালে তা আরও সংঙ্কুচিত হবে। ২০২৩ সালে বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির হার গত জুন মাসের পূর্বাভাষ তথা ৩ শতাংশ থেকে কমে ১.৯ শতাংশে নেমে আসবে। এমন প্রেক্ষাপটে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক সত্তা হিসেবে চীনের অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখা খুব তাত্পর্যপূর্ণ।

কর্মসম্মেলনে বলা হয়েছে, চীনের অর্থনীতিতে রয়েছে শক্ত বলিষ্ঠতা, সম্ভাবনা এবং প্রাণচাঞ্চল্য। বিভিন্ন নীতি বাস্তবায়নের সাফল্যও দৃশ্যমান হচ্ছে। আগামী বছর চীনের অর্থনীতি স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। আগামী বছর অর্থনৈতিক কার্যক্রমে করোনা প্রতিরোধ এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে সমন্বয় করা হবে। ফলে চীনের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের গতি দ্রুততর হবে এবং বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিতে পর্যাপ্ত চালিকাশক্তি যোগাবে চীন।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *