ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪

দেশে সৌরবিদ্যুৎ স্থাপন সহজ করতে ও ব্যবহার বাড়াতে বিদ্যুৎ বিভাগ এবং ইন্টারন্যাশনাল সোলার অ্যালায়েন্সের (আইএসএ) মধ্যে একটি সিপিএ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষে যুগ্মসচিব (নবায়নযোগ্য জ্বালানি) নিরোদ চন্দ্র মন্ডল এবং আইএসএর পক্ষে রমেশ কুমার কুরুপ্পাথ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

চুক্তিটির মেয়াদ ২০২৬ সাল পর্যন্ত। এ চুক্তির ফলে সৌরশক্তি নির্ভর বিভিন্ন প্রকল্প প্রণয়ন এবং সেগুলোর জন্য বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা সহজ হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আইএসএ পরিচালক অজয় মাথুর বলেন, আইএসএ’র প্রথম দিকের সমর্থক দেশগুলোর একটি হিসেবে বাংলাদেশ ২০১৬ সালে সংস্থাটির সদস্যপদ লাভ করে। এই চুক্তি স্বাক্ষরের ফলে দুপক্ষের মধ্যে সমঝোতা আরও দৃঢ় হবে এবং সম্মিলিত উদ্যোগের মাধ্যমে সৌরশক্তির বিস্তারে আমরা উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হব। সারা বিশ্বে সৌরশক্তির ব্যবহার খুব দ্রুত প্রাধান্য লাভ করছে এবং এর দাম প্রতিনিয়ত কমছে। বাংলাদেশ সৌর প্রযুক্তি, বিশেষ করে রুফটপ সোলার প্রযুক্তির বিকাশে উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছে। রেগুলেটরি সহায়তার মাধ্যমে সৌরবিদ্যুতে বিনিয়োগ ত্বরান্বিত করা যেতে পারে। সম্মিলিতভাবে আমাদের লক্ষ্য হলো প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, বিনিয়োগ সচল করা এবং বর্ধিত কলেবরে সৌরশক্তির আত্তীকরণ।

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, আমরা সৌরবিদ্যুৎ সম্প্রসারণে বিশেষ উদ্যোগ নিচ্ছি। কিন্তু আমাদের জমির স্বল্পতা রয়েছে। এজন্য অন্য যেসব জায়গায় সৌরবিদ্যুৎ স্থাপন করা সম্ভব সেগুলো আমরা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। সৌরবিদ্যুতের জন্য আমরা একটা রোডম্যাপ তৈরি করতে চাই। নেট মিটারিং গাইডলাইন আকর্ষণীয় করা, নবায়ন যোগ্য জ্বালানি নীতিমালা সংশোধন করার উদ্যোগ আমরা ইতোমধ্যে গ্রহণ করেছি। কৃষিতে সৌরবিদ্যুৎ কীভাবে সম্প্রসারণ করা যায় সে বিষয়ে আমরা কাজ করছি।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব হাবীবুর রহমান, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেইন প্রমুখ।

চুক্তির আওতায় যা রয়েছে

১. সোলার রোডম্যাপ (২০২৩-২০৩০)

২. BRRI-কে ২ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ১২টি ট্রলি মাউন্টেড সোলার ইরিগেশন সিস্টেম, ২ কিলোওয়াট ক্ষমতার ১২টি পোর্টেবল সোলার প্যাডি থ্যাশার এবং ১.৫ কিলোওয়াট ক্ষমতার ড্রিংকিং ওয়াটার প্ল্যান্ট সরবরাহ।

৩. ২২ কিলোওয়াট ক্ষমতার দুটি রুফটপ সোলার স্থাপন এবং যেকোনো একটি রেলওয়ে প্ল্যাটফর্মে রুফটপ সোলার প্রকল্প স্থাপন।

৪. ফ্লোটিং সোলার প্রকল্পের ফিজিবিলিটি স্টাডি সম্পাদন ও ফ্লোটিং সোলার প্রকল্প স্থাপনে সহায়তা।

৫. প্রয়োজনীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং দক্ষতা বৃদ্ধি, তথ্য বিনিময় এবং সর্বোত্তম অনুশীলনকে উৎসাহিত করা।

৬. সোলার পাওয়ারড কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...