ডিসেম্বর ৩, ২০২৪

প্রতি বছরের মতো এবারও পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে ভোক্তার জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য বিক্রি শুরু করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ। ‘বসুন্ধরার পণ্য, ভোক্তার জন্য’ স্লোগানকে সামনে রেখে এই বছর ট্রাকসেলের মাধ্যমে ৩১টি পণ্য বিক্রি করছে বসুন্ধরা গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা ফুড অ্যান্ড বেভারেজ।

আজ মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুর ১২টায় সচিবালয়ের পাশে খাদ্য অধিদপ্তরের সামনে বসুন্ধরার এই সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে যুগ্ম সচিব মো. দাউদুল ইসলাম। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা ফুড অ্যান্ড বেভারেজের এজিএম কাজী মনিরুজ্জামান মনি, ডিএসএম (সেলস) মো. আল আমিন, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ (স্পেশাল সেলস মনিটরিং) মো. রবিউল হক ভূঁইয়া, স্পেশাল সেলস মনিটরিং জুয়েল আহমেদ, এএসএম রোকনুজামান, এএসএম নাজমুল করিম প্রমুখ।

সাশ্রয়ী মূল্যে বসুন্ধরার পণ্য বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে যুগ্ম সচিব মো.দাউদুল ইসলাম বলেন, আমাদের মন্ত্রণালয়ে বেশ কিছুদিন আগে রমজানের প্রস্তুতি নিয়ে একটি মিটিং হয়েছিল। সেখানে আমাদের মন্ত্রী বসুন্ধরাসহ বিভিন্ন ভোগ্যপণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনুরোধ করেছে, রমজান মাসে গরিব মানুষকে সহায়তা করার লক্ষ্যে সাশ্রয়ীমূল্যে পণ্য বিক্রি করার জন্য। তখন তারা সাড়া দিয়েছিল। তারই অংশ হিসেবে আজ বসুন্ধরা গ্রুপ সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য বিক্রি শুরু করেছে। এটি অত্যন্ত ভালো উদ্যোগ। এতে মানুষের উপকার হবে। আমরা এটি স্বাগত জানাই।

বসুন্ধরা ফুড অ্যান্ড বেভারেজের এজিএম কাজী মনিরুজ্জামান মনি বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপ দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করে। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা এবার পুরো রমজান মাস জুড়ে ঢাকাসহ দেশের ২০টি স্থানে সাশ্রয়ী মূল্যে বসুন্ধরার ফুড অ্যান্ড বেভারেজের খাদ্যপণ্য বিক্রি শুরু করেছি।

এ বছর রাজধানীর ৬টি স্থানে ও রাজধানীর বাইরে ১৪টি জেলায় ট্রাকসেলের মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য বিক্রি করবে বসুন্ধরা ফুড অ্যান্ড বেভারেজ। রাজধানীর ৬টি স্থান হলো- সচিবালয়ের সামনে, কারওয়ান বাজারের টিসিবি ভবনের সমানে, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, মোহাম্মদপুর, মিরপুর ও উত্তরা বিজিবি মার্কেটের সামনে।

এছাড়া গাজীপুরের জয়দেবপুরে, নারায়ণগঞ্জের সদরে, ময়মনসিংহের বিদ্যাময়ী স্কুল গেইটে, নরসিংদীর বেলানগরে, টাঙ্গাইলের নিরালা মোড়ে, কুমিল্লা টমছম ব্রিজ কান্দিরপাড়ে, চট্টগ্রামের সিএনবি কলোনি মোড়ে, সি্লেটের বন্দরে, বগুড়ার সাতমাথা জিলা স্কুল গেইটে, রাজশাহীর আলুপট্টি মোড়ে, রংপুরের পাবলিক লাইব্রেরি গেইটে, খুলনার ডাকবাংলা মোড়ে, ফরিদপুরের চকবাজার হেলিপ্যাডে ও বরিশালের চৌমাথা হাতেম আলী কলেজের সামনে এই কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

এ বছর ট্রাকসেলের মাধ্যমে এক লিটার সয়াবিন তেল ১৬৩ টাকার পরিবর্তে ১৫৫ টাকা, দুই লিটার সয়াবিন তেল ৩২৬ টাকার পরিবর্তে ৩১০ টাকা, তিন লিটার সয়াবিন তেল ৪৮৮ টাকার পরিবর্তে ৪৬৫ টাকা, পাঁচ লিটার সয়াবিন তেল ৮০০ টাকার পরিবর্তে ৭৬৫ টাকা, আট লিটার সয়াবিন তেল ১২৮০ টাকার পরিবর্তে ১২২৫ টাকা, এক লিটার সরিষার তেল ৩৬০ টাকার পরিবর্তে ২৬৫ টাকা, এক কেজি আটা ৬৫ টাকার পরিবর্তে ৪৮ টাকা, এক কেজি ময়দা ৭৫ টাকার পরিবর্তে ৬০ টাকা, ২৫০ গ্রাম সুজি ২৫ টাকার পরিবর্তে ২০ টাকা, এক কেজি মসুর ডাল ১৫০ টাকার পরিবর্তে ১৪০ টাকা, এক কেজি চিনিগুঁড়া চাল ১৮০ টাকার পরিবর্তে ১৪১ টাকা, ২০০ গ্রাম সেমাই ৩০ টাকার পরিবর্তে ২৫ টাকা, ২০০ গ্রাম লাচ্ছা সেমাই ৫০ টাকার পরিবর্তে ৩৫ টাকা, ইনস্ট্যান্ট মাসালা নুডলস (৮ প্যাক) ১৪০ টাকার পরিবর্তে ১১০ টাকা, ১৫০ গ্রাম স্টিক এগ অ্যান্ড চিকেন নুডলস ২৫ টাকার পরিবর্তে ২২ টাকা, ৩০০ গ্রাম পান্ডা অথেনন্টিক চাইনিজ নুডলস ৬০ টাকার পরিবর্তে ৪৮ টাকা, ২০০ গ্রাম ম্যাকারনি অ্যাসরটেড ৪৫ টাকার পরিবর্তে ৩৫ টাকা, ২০০ গ্রাম সি-শেল পাস্তা ৫০ টাকার পরিবর্তে ৩৭ টাকা, ৫০০ গ্রাম হলুদের গুড়ার প্যাকেট ২৪০ টাকার পরিবর্তে ১৭৫ টাকা, ৫০০ গ্রাম মরিচের গুড়ার প্যাকেট ৪১০ টাকার পরিবর্তে ৩১৫ টাকা, ৫০০ গ্রাম ধনিয়ার গুড়ার প্যাকেট ২৪০ টাকার পরিবর্তে ১৭৫ টাকা, ৫০০ গ্রাম জিরার গুড়ার প্যাকেট ৯০০ টাকার পরিবর্তে ৭৭৫ টাকা, ২০০ গ্রাম হালিম মিক্স ৫৫ টাকার পরিবর্তে ৫০ টাকা, ১০০ গ্রাম মুরগির মসলা ৭৮ টাকার পরিবর্তে ৬২ টাকা, ৪০ গ্রাম বিরিয়ানি মসলা ৬০ টাকার পরিবর্তে ৫০ টাকা, ১০০ গ্রাম গরুর মাংসের মসলা ৮৪ টাকার পরিবর্তে ৭০ টাকা, ৫০ গ্রাম কাবাব মসলা ৯০ টাকার পরিবর্তে ৭০ টাকা, ৫০ গ্রাম বোরহানি মসলা ৪০ টাকার পরিবর্তে ৩০ টাকা, ৫০ গ্রাম চটপটি মসলা ৪০ টাকার পরিবর্তে ৩২ টাকা, ২০০ গ্রাম বসুন্ধরা চা (প্রিমিয়াম) ১১০ টাকার পরিবর্তে ৮০ টাকা, ১০০ গ্রাম বসুন্ধরা প্রিমিয়াম টি ব্যাগ ৯০ টাকার পরিবর্তে ৬৫ টাকায় বিক্রি করছে প্রতিষ্ঠানটি।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...