মে ১৮, ২০২৪

 

ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে বাজারে এখন জাল টাকার ছড়াছড়ি। জাল নোটের কারবারের সাথে জড়িত একাধিক চক্র এখন সক্রিয়। এর মধ্যে শুধু একটি চক্রই গত দুই মাসে প্রায় ৫ কোটি টাকার জাল নোট বাজারে ছেড়েছে। চক্রটি আরও ২ থেকে ৩ কোটি টাকার জাল নোট বাজারে ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তবে এর আগেই তাদের আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) লালবাগ বিভাগ।

সোমবার (২৬ জুন) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এ তথ্য জানিয়েছেন। রাজধানীর লালবাগের কাশ্মীর লেন থেকে চক্রের ৯ সদস্যকে আটক করা হয়।

হারুন অর রশীদ বলেন, ‘চক্রটি এই জাল টাকারা নোট প্রত্যন্ত এলাকায় ছড়িয়ে দিচ্ছে। তাদের মার্কেটে পেইড এজেন্ট রয়েছে। তাদের মাধ্যমেও চক্রটি জাল টাকা ছড়িয়ে দিত। এছাড়া তারা জেলে থেকেও জাল টাকার সিন্ডিকেট তৈরি করে। যারা জেল থেকে বের হয়ে পরে সংঘবদ্ধভাবে কাজ করে। এছাড়া মহাজন এসব জাল নোট বিক্রির টাকা দিয়ে গাড়ি-বাড়ি করেছেন। শুধু তাই নয়, একাধিক বিয়ে করেছেন। পরবর্তীতে তাদের দিয়েও জাল নোট তৈরির ব্যবসা শুরু করেন।’

তিনি বলেন, ‘গোয়েন্দা সূত্র ধরে প্রথমে ইব্রাহিম, আফাজুল ওরফে রাসেল, হাবিবুল্লাহ ও দুলাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে কাশ্মীর লেনের একটি জাল টাকার কারখানার সন্ধান পাওয়া যায়। সেখানে জাল টাকা তৈরিরত অবস্থায় কারখানার মহাজন বাবুল মিয়াসহ অন্যদের গ্রেপ্তার করা হয়। ঘরোয়া কারখানা থেকে জাল টাকা তৈরির কাজে ব্যবহৃত ল্যাপটপ, প্রিন্টার, জলছাপ যুক্ত বিশেষ কাগজ, বিভিন্ন রকমের মনোগ্রাম সম্বলিত স্ক্রিন, ডাইস, বিভিন্ন রঙের কালি, কাগজ কাটার যন্ত্র, কাচি, চাকুসহ দুই কোটি জাল টাকা তৈরি করার উপযোগী সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়।’

এছাড়াও ডিবির এই কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি নিয়মিত মামলা হয়েছে। চক্রের সঙ্গে জড়িত অন্য সদস্য সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের জন্য তাদেরকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

আটক ব্যক্তিরা হলেন চক্রের মূল হোতা ও মহাজন খ্যাত বাবুল মিয়া, তার স্ত্রী মিনারা খাতুন, প্রধান কারিগর সাইফুল ইসলাম, তার স্ত্রী মিলি খাতুন, কারিগর আলপনা আক্তার, ইব্রাহিম, আফাজুল ওরফে রাসেল, হাবিবুল্লাহ ও দুলাল হোসেন।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *