ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪

চাঁদপুর সদর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের কামরাঙ্গা ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। আজ রোববার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে নিজ গ্রাম রাঢ়ীরচর এলাকার ওই কেন্দ্রে বেশ কিছু সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে ভোট দেন তিনি।

ভোট দেওয়া শেষে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত নানান ষড়যন্ত্র এবং গাড়িতে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। তারা আজকে উৎসবমুখর পরিবেশে এসে ভোট দিয়েছে।

তিনি বলেন, গত ১৫ বছর নির্বাচনী এলাকার জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে তাদের সেবা করার সুযোগ দিয়েছে। আমি সাধ্যমত উন্নয়ন করার চেষ্টা করেছি । আশা করছি এবারও লোকজন আমাকে নির্বাচিত করে সেবা করার সুযোগ দিবে। ভোটারদের প্রতি আমার সেই দৃঢ় বিশ্বাস আছে।

এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ৮ হাজার ৯৩২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৬৩ হাজার ৮৯৩ জন। নারী ভোটার ২ লাখ ৪৫ হাজার ৩৯ জন। একটি পৌরসভা, ২ টি উপজেলা ও ২০টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এ আসন।

চাঁদপুরের এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৭ জন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের ডা. দীপু মনি (নৌকা), ড. মোহাম্মদ শামসুল হক ভূঁইয়া (ঈগল), মো. রেদওয়ান খান (ট্রাক), জাতীয় পার্টির মো. মহসীন খান (লাঙ্গল), বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্টের আবু জাফর মো. মাঈনুদ্দিন (মোমবাতি), বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মো. মিজানুর রহমান (ফুলের মালা) ও জাকের পার্টির মোঃ. কাওছার মোল্লা (গোলাপ ফুল)।

ইসির দেওয়া তথ্যমতে, নির্বাচন ঘিরে সারাদেশে পাঁচ লাখ ১৬ হাজার আনসার, এক লাখ ৮২ হাজার ৯১ পুলিশ, ৪৬ হাজার ৮৭৬ বিজিবি, দুই হাজার ৩৫০ কোস্টগার্ড এবং ৭০০ এর বেশি র‌্যাব টহলে থাকবে। তাদের সঙ্গে ভোটের মাঠে থাকবে সশস্ত্র বাহিনী। এ ছাড়া আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরাও মাঠে থাকবে। প্রতিকেন্দ্রে থাকবেন ১৫ থেকে ১৭ জন নিরাপত্তা সদস্য।

এবার নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৭ লাখ। এর মধ্যে ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন পুরুষ, ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন নারী এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারের সংখ্যা ৮৫২। মোট ভোটকেন্দ্র ৪২ হাজার ১০৩টি। ভোটকক্ষ ২ লাখ ৬১ হাজার ৯১২টি। ভোট হচ্ছে ব্যালট পেপারে।

এবারের নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ভোট হবে ২৯৯ আসনে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নওগাঁ-২ আসনের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। নির্বাচনে ২৮টি দল অংশগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে দলীয় প্রার্থী ১ হাজার ৫৩৪ জন এবং স্বতন্ত্র ৪৩৬ জন। নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ২৬৬ জন প্রার্থী দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এ ছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬৫ জন প্রার্থী দিয়েছে জাতীয় পার্টি এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৩৫ জন প্রার্থী রয়েছেন ‘সোনালী আঁশ’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে আসা তৃণমূল বিএনপি।

এদিকে বিএনপিসহ ৬০টি দল নির্বাচন বর্জন করেছে। দলটি সরকার পতনের এক দফা দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করে সফলতা না পেয়ে নির্বাচনের দুই মাস আগ থেকে হরতাল-অবরোধের পথ বেছে নেয়। এতে সরকারকে চাপে ফেলতে না পেরে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে গত ২০ ডিসেম্বর ‘অসহযোগ আন্দোলনের’ ডাক দেয় দলটি। পাশাপাশি সরকারকে সকল প্রকার কর, খাজনা, পানি, গ্যাস এবং বিদ্যুৎ বিল দেওয়া স্থগিত রাখার অনুরোধ জানায় দলটি।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...