নভেম্বর ২৮, ২০২৪

চলতি ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে ৭০০ মিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স আহরণের মাধ্যমে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি। নতুন বছরের প্রথম মাসে দেশে আহরিত মোট রেমিট্যান্সের প্রায় ৩৫ শতাংশ আর ইসলামি ব্যাংকগুলোর মধ্যে ৫০ শতাংশের বেশি প্রবাসী আয় আসে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে।

বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) ব্যাংকটির সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে ৭০০ মিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স আহরণের মাধ্যমে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। জানুয়ারি মাসে ইসলামী ব্যাংকের আহরিত রেমিট্যান্স দেশে আহরিত মোট রেমিট্যান্সের প্রায় ৩৫ শতাংশ আর ইসলামি ব্যাংকগুলোর মধ্যে এই পরিমাণ ৫০ শতাংশের বেশি। মাস জুড়ে বিভিন্ন দেশে থাকা বাংলাদেশী প্রবাসীরা এই রেমিট্যান্স ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠিয়েছেন। গত মাসেও বরাবরের মত প্রবাসীদের পছন্দের শীর্ষে ছিল বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি। ফলে সবচেয়ে বেশী রেমিট্যান্স আহরণ করে দেশে প্রবাসী আয় এনে এক মাসে সর্বোচ্চ প্রবাসী রেমিট্যান্স আহরণের নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে এ ব্যাংক।

ইসলামী ব্যাংক দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে প্রবাসী আয়ে শীর্ষ স্থানে রয়েছে। ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে নিজস্ব আমদানী ব্যায় পরিশোধের পর এই পর্যন্ত সরকারী রিজার্ভে ১২ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশী যোগ করে অর্থনীতিতে বিশেষ অবদান রেখেছে। ইসলামী ব্যাংক সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ ও প্রবাসী সেবায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় দেশী বিদেশী নানা পুরস্কার ও স্বীকৃতি পেয়ে আসছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ইসলামী ব্যাংক প্রবাসীদের রেমিট্যান্স আহরণ ও প্রবাসীদের সেবায় বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করে। বর্তমানে ব্যাংকের ২৯ জন প্রতিনিধি বিশ্বের সৌদি আরব, সংয্ক্তু আরব আমিরাত, কাতার, ওমান, জর্ডান ও সিঙ্গাপুরে প্রবাসীদের সেবা প্রদান করে যাচ্ছে। বিশ্বের ৬৪ টি দেশের ৫৯৪টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্পর্ক রয়েছে ইসলামী ব্যাংকের। প্রবাসীদের কষ্টার্জিত আয়কে বৈধ পথে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে আনয়নের জন্য ২১ দেশের ১৫৫টি ব্যাংক ও এক্সচেঞ্জ হাউজের সাথে ইসলামী ব্যাংকের চুক্তি রয়েছে যার মাধ্যমে ২০০ এর অধিক দেশ থেকে রেমিট্যান্স বেনিফিসিয়ারির হিসাবে অর্থ জমা হয়।

বাংলাদেশের প্রবাসীদের অধিকাংশই মধ্যপ্রাচ্যে কর্মরত। এসব দেশ থেকে বাংলাদেশে আগে টাকা পাঠানোর সহজ, নিরাপদ ও দ্রুত উপায় না থাকায় প্রবাসীগণ অবৈধ উপায় গ্রহণ করতো। ইসলামী ব্যাংক প্রবাসীদের সাথে নিয়মিত মতবিনিময় সভা ও বিশেষ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে মানুষকে বৈধ চ্যানেলে টাকা পাঠাতে উৎসাহিত করে। প্রবাসীদের কষ্টার্জিত অর্থ দেশে আসছে নিরাপদে। বিনিয়োগ হচ্ছে জাতীয় উন্নয়ন নীতিমালার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ খাতে।

প্রবাসীদের স্বজনদের হাতে দ্রুত ও নিরাপদে টাকা পৌঁছে দিতে ইসলামী ব্যাংক অচও স্থাপন করেছে যার মাধ্যমে ব্যাংকের নিবেদিত কর্মকর্তারা ২৪ ঘন্টা রেমিট্যান্স সেবা প্রদানের কাজ করে যাচ্ছেন। ইসলামী ব্যাংকের ৩৯৪টি শাখা, ২৪ টি উপ-শাখা, ২৭৭৩টি এজেন্ট ব্যাংক ও ২৯৯৪টি এটিএম/সিআরএম এর সমন্বয়ে গঠিত দেশের সর্ববৃহৎ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে রেমিট্যান্স বেনিফেসিয়ারিরা তাৎক্ষণিক রেমিট্যান্সের টাকা সংগ্রহ করতে পারেন। প্রবাসী এবং তাদের সুবিধাভোগীদের আরো দ্রুত ও উন্নত সেবা প্রদানের জন্য ব্যাংকের প্রত্যেকটি শাখায় রেমিট্যান্স লাউঞ্জ স্থাপন কার্যক্রম চলমান রয়েছে যা খুব দ্রুত শেষ হবে। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে এককভাবে ইসলামী ব্যাংক ৫ বিলিয়ন ডলার সম মূল্যের প্রবাসী রেমিট্যান্স আহরণ করে যা দেশের মোট রেমিট্যান্সের ২৩ শতাংশ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...