যে সিনেমাগুলো বানাতে গেলে রাজার নীতি আটকে দেয় সেটাই এই মুহূর্তে সিনেমায় রাজনীতি হয়ে যাচ্ছে বলে মনে করেন টালিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ। তিনি বলেন, আমি চাই রাজনীতির সিনেমা বেশি করে হোক। কারণ রাজনীতির সিনেমা মানুষের বোধ জাগ্রত করবে।
‘সাহিত্য আজ তাক কলকাতা’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। এ দিন ‘সিনেমার রাজনীতি, রাজনীতির সিনেমা’ বিষয়ে রুদ্রনীল ঘোষ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন পরিচালক-প্রযোজক তথা অভিনেতা অরিন্দম শীল এবং পরিচালক তথা অভিনেতা কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়।
অনুষ্ঠানে রুদ্রনীল ঘোষ বলেন, আমরা প্রত্যেকেই বিভিন্ন জায়গায় লড়াই করছি। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ অনেক কিছু পাচ্ছেন, পাওয়ার প্রত্যাশাও রাখেন না। সিনেমায় রাজনীতি নিয়ে বলতে গেলে অনেক কিছু উঠে আসে। পড়ে থাকা অনেক অনুভূতিকে জাগিয়ে তুলতে পারে। সেই অসীম ক্ষমতা সিনেমায় আছে। শুধু মন ভালো করে বাড়ি চলে আসার মতো সিনেমা বাংলার মানুষ ভালোবাসে না। কেজিএফ বা শাহরুখের ছবি যেমন দেখেন, সেরকম আমার পাশে বসে থাকা পরিচালকেরা যদি এরকম সিনেমা বানান। বাঙালি দর্শক গেল গেল বলে চিৎকার করবে। তখন তাদের সত্যজিতের ভূত চেপে বসবে।
তিনি বলেন, ভুবন সোম-এর মধ্যে দিয়ে ছবি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিল, যা রাজনীতি নিয়ে কথা বলছিল। সমাজকে বড় করে গড়ে তোলার জন্য একটি পদক্ষেপ রাজনীতি। রাজনীতি আমার কাছে রাজার নীতি নয়, নীতির রাজা। কিন্তু কে, কতটা তা বজায় রাখতে পারছে সে আলোচনা থামবে না। যে সিনেমাগুলো মানুষের বোধ জাগ্রত করে, ধাক্কা দেয়, সেই ছবিগুলোকে মিস করছি। এটি রাজনীতির সিনেমা।