আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি হিসেবে ৬৮২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পাওয়ার পর দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৫ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলারে। আজ রোববার (১৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক।
তিনি বলেন, আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ পাওয়ার পর রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৫ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার।
গত ৩০ জানুয়ারি দাতা সংস্থাটির বোর্ড ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন দেয়। ঋণ অনুমোদনের পরপরই চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি ঋণের প্রথম কিস্তি হিসেবে বাংলাদেশকে ৪৭৬ দশমিক ২৭ মিলিয়ন দেয়া হয়।
ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের জন্য গত জুনভিত্তিক বিভিন্ন সূচকে শর্ত পালনের অগ্রগতি দেখতে গত ৪ অক্টোবর আইএমএফের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় আসে। প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশে এসে ঋণ কর্মসূচি পর্যালোচনার পর আইএমএফ বোর্ডের কাছে ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির প্রস্তাব উপস্থাপন করে। এরপর এলো দ্বিতীয় কিস্তি।
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে ঋণ সহায়তার এ অর্থ দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভে যুক্ত হয়। সে সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক গণমাধ্যমকে জানান, ‘আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি হিসেবে অনুমোদিত ৬৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলার ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের ঋণের ৪০ কোটি ডলার রিজার্ভে যুক্ত হয়েছে। সব মিলিয়ে এই অর্থের পরিমাণ ১০৮ দশমিক ৯৮ কোটি ডলার।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের সূত্র অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার দেশের রিজার্ভ ছিল ২৪ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার। শুক্রবার আইএমএফের ঋণ যুক্ত হওয়ায় রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়ায় ২৫ দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলারে। তবে আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী বিপিএম-৬ অনুযায়ী হিসাব করা হলে রিজার্ভ তখন দাঁড়ায় ২০ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলারে।
এদিকে বেশ কয়েকটি পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালে শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কয়েকটি ইসলামী ব্যাংককে ক্লিয়ারিং হাউস বা নিকাশ ঘর থেকে বিরত বা বিচ্ছিন্ন রাখার খবর প্রকাশ করা হয়। এ বিষয়ে মেজবাউল হক বলেন,
শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলোকে নিয়ে ভুলভাবে সংবাদ প্রচার করা হয়েছে। ইসলামি ব্যাংকের ঘাটতি কম, তবে তারল্য সংকট আছে।