

এবারের অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে ইংল্যান্ডের সঙ্গে একাই পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন উসমান খাওয়াজা। প্রথম ইনিংসে ৩২১ বলে ১৪১ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছিলেন খাওয়াজা। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে তার ব্যাট থেকে আসে ১৯৭ বলে ৬৫ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস। তৃতীয় দিনের সকালে খাওয়াজাকে আউট করে অলি রবিনসনকে অশালীন ব্যবহার করতে দেখা যায়। এই ঘটনা শেষদিন পর্যন্তও গড়িয়েছে।
শেষদিনের খেলার এক পর্যায়ে রবিনসনকে বলতে শোনা যায়, ‘ফ্রিবি, তাই না? হাফ ভলি, ফিল্ড আপ?, উত্তরে খাওয়াজা বলেন, ‘কঠিন, বন্ধু। এইজন্যই তুমি ব্যাটসম্যান নও।’
রবিনসনও থেমে থাকেননি। তিনি আবার বলেন, ‘তোমাকে কিছু বলতে দেখে ভালো লাগলো।’ এরপর আরও অশালীন কিছু বলতে শোনা যায় রবিনসনকে। তবে খাওয়াজা স্থির ছিলেন। তিনি পাল্টা উত্তরে বলেন, ‘বন্ধু, তুমি যা বলছ সাবধানে যাও।’
ম্যাচ শেষে এই ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল রবিনসনকে। তিনি রিকি পন্টিংকে টেনে বলেছেন, ‘আমরা সবাই রিকি পন্টিংকে দেখেছি এবং অন্যরাও একই আচরণ করেছে আমাদের সঙ্গে। কিন্তু এবার তাদের বিরুদ্ধে এমনটা হওয়ায় তারা ভালোভাবে গ্রহণ করেনি। এটি পেশাদার খেলা। আপনি যদি এটি মানতে না পারেন তবে আপনি কী মানবেন?’
অহেতুক রবিনসন তার নাম টানায় বিরক্ত হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এই অধিনায়ক। ১৫ বছর আগের কথা ভাবতে চাইলে এই ইংলিশ পেসারকে থামাবেন না বলেও জানিয়েছেন পন্টিং।
এ প্রসঙ্গে পন্টিং বলেন, ‘তাকে কিছু কথা বলার ছিল, আমি বলতে চাচ্ছি যে সে এতে আমার নামও টেনেছে, যা আমার কাছে কিছুটা অস্বাভাবিক মনে হয়েছিল কিন্তু আমার কাছে এটির কোনো গুরুত্ব নেই। সে যদি আমার কথা ভেবে বসে থাকতে চায় তাহলে আমি অবাক হবো না। ১৫ বছর আগে আমি কি করেছিলেন তা নিয়ে যদি চিন্তিত থাকে…’
রবিনসনকে পরামর্শ দিয়ে পন্টিং আরও বলেন, ‘আশা করি সে খুব দ্রুত শিখবে। অ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের সাথে কথার লড়াইয়ে যেতে চাইলে আপনার দক্ষতার সাথে এটিকে মোকাবেলা করতে হবে।’