মে ৯, ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্য মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে গাজায় দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধবিরতির আলোচনা অনেকটাই এগিয়েছে। ইসরায়েল ও হামাস– দু’পক্ষ সম্মত হলেই আগামী ৬ সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি হতে পারে। এ লক্ষ্যে গত শনিবার হামাসের প্রতিনিধি দল মিসরের কায়রোতে পৌঁছায়। যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি ও বন্দিমুক্তি চুক্তির জন্য কাঠামো অনুমোদন করেছে। এখন হামাসের ওপর বিষয়টি নির্ভর করছে। তারা সম্মত হলেই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে।

মিসরের রাজধানী কায়রোতে মধ্যস্থতাকারীদের পুনরায় মিলিত হওয়ার লক্ষ্য হলো– গাজায় দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য ইসরায়েল এবং হামাসের কাছে গ্রহণযোগ্য কোনো ফর্মুলা খুঁজে বের করা। ওয়াশিংটন জানিয়েছে, হামাসের পক্ষ থেকে সম্মতির অপেক্ষা করা হচ্ছে। কিন্তু এ বিষয়ে ইসরায়েল ও হামাস এ ধরনের অগ্রগতি সম্পর্কে কোনো তথ্য দেয়নি।

হামাসের প্রতিনিধি দলের বিষয়ে ফিলিস্তিনি এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, চুক্তিটি ‘এখনও হয়নি’। ইসরায়েলি পক্ষ থেকে কিংবা তাদের প্রতিনিধি দল অংশ নিয়েছিল– এমন কোনো আনুষ্ঠানিক নিশ্চিতকরণ পাওয়া যায়নি।

আলোচনার বিষয়ে একটি সূত্র জানিয়েছে, হামাস জীবিত জিম্মিদের একটি সম্পূর্ণ তালিকা চায়। এই তালিকা না দিলে ইসরায়েল আলোচনায় অংশ নাও নিতে পারে।

শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, ‘ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি আছে, ইসরায়েল এটি কমবেশি মেনে নিয়েছে।’ প্রস্তাবে ৬ সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি, অসুস্থ, আহত, বয়স্ক জিম্মিদের মুক্তির বিষয়টি রয়েছে। এই চুক্তি হলে উত্তর গাজায় হাজারো ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনির কাছে সাহায্য পৌঁছানোর অনুমতি দেওয়া হবে।

মধ্যস্থতাকারীরা পবিত্র রমজান মাসের আগেই যুদ্ধবিরতির চুক্তি করতে চেষ্টা করছেন। এর আগে হামাস পূর্ণ স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি সৈন্যদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের শর্ত দিয়েছিল। কিন্তু তা মেনে নেননি দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

এদিকে, অপুষ্টি ও পানিশূন্যতায় গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালে অন্তত ১৫ শিশু মারা গেছে। গত কয়েকদিনে এ শিশুগুলোর মৃত্যু হয়েছে। রোববার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানায়। রোববার পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৩০ হাজার ৪১০ জনে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *