

শীর্ষপর্যায়ের বৈঠকে চুক্তি হয়েছে গত বছর। কিন্তু শিখ নেতা হত্যাচেষ্টা ইস্যুতে ভারতে ৩১টি এমকিউ-৯বি ড্রোন বিক্রির ব্যাপারে মার্কিন প্রশাসন গড়িমসি করবে বলে মনে করা হচ্ছিল। এবার সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ড্রোন বিক্রির অনুমোদন দিল মার্কিন প্রশাসন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবদেনে বলা হয়েছে, ৩০০ কোটি ডলার দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৩১টি এমকিউ-৯বি ড্রোন কেনার চুক্তি করেছিল ভারত। সম্প্রতি সেই চুক্তিতে সবুজ সংকেত দিয়েছে মার্কিন কংগ্রেস।
এই ড্রোনগুলো হাতে পেলে ভারতের সামরিক শক্তি আরও বৃদ্ধি পাবে। চীন সীমান্ত থেকে অতল সমুদ্রে আরও তীক্ষ্ণ নজরদারি চালাতে পারবে ভারত। প্রয়োজনে প্রাণহানির আশঙ্কা ছাড়াই শত্রুপক্ষকে জব্দও করতে পারবে।
জানা যায়, এমকিউ-৯বি ড্রোন প্রস্তুতকারক জেনারেল অ্যাটমিক্সকে এই ছাড়পত্রের বিষয়ে অবগত করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিও জারি করবে মার্কিন কংগ্রেস। ড্রোন প্রস্তুতকারক সংস্থাটি ভারত সরকারকে ছাড়পত্র পাওয়ার বিষয়ে জানিয়েছে। এখন বাকি শুধু আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ।
গত বছর ৩১টি সশস্ত্র এমকিউ-৯বি ড্রোন কেনার জন্য চুক্তি হয়েছিল ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে প্রথম দফায় ভারত পাবে ১০টি অত্যাধুনিক ড্রোন। তবে সেই ড্রোনগুলোর সঙ্গে অস্ত্র আসবে না। যদিও এই ড্রোনগুলো অস্ত্র বহনে সক্ষম থাকবে।
দ্বিতীয় দফা থেকে ভারত সশস্ত্র ড্রোন পেতে শুরু করবে। প্রথম দফায় পাওয়া ১০টি এমকিউ-৯বি ড্রোনের মধ্যে একটি ড্রোনকে দক্ষিণ ভারতে মোতায়েন করা হবে। দুটি ড্রোনকে চিন সীমান্তের ওপর নজরদারির জন্য মোতায়েন করা হবে।