মে ২, ২০২৪

অভিনেত্রী জিনাত শানু স্বাগতা চলতি বছরের শুরুতে নতুন করে ঘর বেঁধেছেন। বিয়ের পর সাবেক ও বার্তমান স্বামীকে নিয়ে অনেক কথাই শুনতে হয়েছিল তাকে। কিন্তু কোনো কথা কানে না নিয়ে নিজের মতোই কাজ করে যাচ্ছেন এই অভিনেত্রী। দুই মাস পর নিজের বিয়ে নিয়ে মুখ খুললেন স্বাগতা।

স্বাগতা বলেন, এর আগেও ভালোবেসে বিয়ে করেছিলাম। কারণ ভালো না বেসে বিয়ে করে কারও সঙ্গে সংসার করা কঠিন। এটা আমার কাছে অসম্ভব। আমি ভালোবেসেই দ্বিতীয় বিয়ে করেছি। আর আমার বিচ্ছেদ হয়েছে আইন মোতাবেক। মেয়েরা ডিভোর্স দিতে পারে। এটা আমার জীবন, আমি সিদ্ধান্ত নিতে পারি। জীবন কি সব সময় এক রকম চলে?’

প্রথম বিয়ের সাত বছরের মাথায় বিচ্ছেদের পথে হাঁটতে হয় স্বাগতাকে। এ সময় সংসার করতে গিয়ে মানসিক ও শারীরিকভাবে তাকে চাপের মধ্যে থাকতে হয়েছে। যে কারণে একসময় তাকে বিচ্ছেদের মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। পরে বাধ্য হয়ে দ্বিতীয় বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন।

গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, এই সমাজে মেয়ে হয়ে একা থাকা কঠিন। যখন আমি একা থাকলাম, তখন দেখলাম- যার বয়স ১৬, সেও আমার প্রেমিক, আবার যার বয়স ৭০, সেও আমার প্রেমিক। এমন অনেকেই প্রেম করতে চায়।

তখন দেখা গেল, আমার কাজের বাইরে প্রেমিক ঠেকানো একটা বাড়তি কাজ হয়ে দাঁড়াল। এটা তো আমি চাই না। কেন আমাকে নিয়ে এসব ভাবার সুযোগ দেব? তখন মনে হলো, আমার অভিভাবক লাগবে। এজন্য আমি আবার প্রেমে পড়ি। পরে দ্বিতীয় বিয়ে করেছি।

তবে অভিনয়শিল্পী হওয়ার কারণে প্রায়ই শুনতে হয় বিচ্ছেদ নিয়ে নানা কথা। কথাগুলো এমন- তারকারা সংসার করতে পারে না, ‘কেন সংসার ভাঙে’, কেন তারকারা একের অধিক বিয়ে করে- বিভিন্ন সময় এমন প্রশ্ন মুখ বুজে সহ্য করলেও এবার এটা নিয়েও চটেছেন এই অভিনেত্রী।

তার ভাষ্য- আমি আমার স্কুলের বন্ধুদের মধ্যে একমাত্র সেলিব্রিটি। আমার স্কুলের বন্ধুদের মধ্যে সবার পরে আমার ডিভোর্স হয়েছে। আমার ক্লাসের ৮০ ভাগ মেয়ের ডিভোর্স হয়ে গেছে। তারা তো সেলিব্রিটি না। শুধু আমাদের সঙ্গে ঘটলেই আপনারা উল্টাপাল্টা মন্তব্য করেন। আপনাদের মন্তব্যের কারণে আমি সেলিব্রিটি হয়েও সাত বছর মার খেয়েছি, মা-বাবাকে নিয়ে যা ইচ্ছা তাই শুনেছি।

তারপরও আমি সম্পর্ক থেকে বের হতে চাইনি। কারণ আপনারা গালিগালাজ করবেন। কষ্ট করেও আমি সংসার করতে চেয়েছি।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *