মে ১৯, ২০২৪

টানা দু’ম্যাচে ব্যর্থতার পর জয়ের ধারায় ফিরেছে ফরাসি ক্লাব পিএসজি। তবে দুই দফায় নেওয়া পেনাল্টি শটে ব্যর্থতার কারণে আলোচনায় কিলিয়ান এমবাপে। শেষ পর্যন্ত সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি। তিনি গোল করেছেন, করিয়েছেনও। দারুণ সব আক্রমণে ম্যাচের ধার বাড়িয়েছেন।

পুরো ম্যাচে ৪ গোল হলেও প্রথমার্ধে স্কোর করতে পারেনি কেউ। সব গোলই হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধে। মোঁপেলিয়ের মাঠেই তাদের ৩-১ গোলে হারিয়েছে ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা।

তবে ম্যাচ জিতলেও ইঞ্জুরির কারণে ১০ মিনিটের ব্যবধানে মাঠ ছাড়েন এমবাপে ও সার্জিও রামোস। চোটের কারণে যেখানে আগে থেকেই নেই নেইমার, সে যাত্রায় এবার যোগ দিয়েছেন এ দুই গুরুত্বপূর্ণ তারকা। যদিও তাদের ইঞ্জুরি কতটা গুরুতর, সেটি এখনও জানা যায়নি। তবে চ্যাম্পিয়নস লিগের আসন্ন বায়ার্ন মিউনিখ ম্যাচের আগে ফরাসিদের জন্য বড় চিন্তার কারণ।

অবশ্য ম্যাচ শেষে পিএসজি কোচ ক্রিস্তফ গালতিয়ে ইতিবাচক থাকার কথাই জানিয়েছেন। তার মতে, এমবাপে ও রামোসের চোট অতটা গুরুতর নয়। তাই চিন্তার কারণ নেই।

এদিন ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যেতে পারত পিএসজি। মেসির ফ্রি কিকে ডি-বক্সে সার্জিও রামোসকে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় সফরকারীরা। অষ্টম মিনিটে ডানদিকে এমবাপের স্পট কিক ঝাঁপিয়ে ঠেকান মোঁপেলিয়ে গোলরক্ষক। পরে সুযোগ পান পাল্টা শটের। কিন্তু ভুল শোধরানো দূরে থাক, বলটি তিনি লক্ষ্যেই রাখতে পারেননি।

২১তম মিনিটে মাঠ ছাড়েন এমবাপে। প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে সমস্যা হ্যামস্ট্রিংয়ে। ১০ মিনিট পর তাকে অনুসরণ করেন রামোস। এর একটু আগে হেড করতে গিয়ে মাথায় ব্যথা পেয়েছিলেন তিনি। মাঠ ছাড়ার সময় মাথাতেই কোন সমস্যা হওয়ার ইঙ্গিত দেন স্প্যানিশ এই ডিফেন্ডার।

৩৪তম মিনিটে মেসির শট মোঁপেলিয়ের একজনের পায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে জড়ায়। তবে আর্জেন্টিনা অধিনায়ক অফসাইডে থাকায় গোল মেলেনি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে তার শট কাঁপায় পাশের জাল। ৫২তম মিনিটে বলে জালে পাঠান আশরাফ হাকিমি। তবে আক্রমণের এক পর্যায়ে রুইস অফসাইডে থাকায় গোল মেলেনি। তিন মিনিট পর স্প্যানিশ এই মিডফিল্ডারই এগিয়ে নেন দলকে। উগো একিতিকের বাড়ানো থ্রু বল ধরে অনায়াসে জালে পাঠান তিনি।

৬২তম মিনিটে ভিতিনিয়ার শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। এর ১০ মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মেসি। রুইসের বাড়ানো বল ধরে গোলরক্ষককে অনায়াসে কাটিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় বল জালে পাঠান তিনি।

শেষ দিকে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে পড়ে মোঁপেলিয়ে। ৮৯তম মিনিটে আলভারো মাভিডিডির কাছ থেকে বল পেয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে বুলেট গতির শটে স্কোরলাইন ২-১ করে ফেলেন নুরদিন। তবে ম্যাচ তখনও শেষ হয়নি। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে জায়ার-এমেরির গোলে সহায়তা করেন আশরাফ হাকিমি।

এর আগে রেনের বিপক্ষে ১-০ গোলে হার এবং রাঁসের বিপক্ষে শেষ মুহূর্তের গোলে ১-১ ড্র করে পিএসজি। সেই ধাক্কা সামলে জয়ে ফেরার মাধ্যমে ৫১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে পিএসজি। ২১ ম্যাচে ১৬ জয় ও তিন ড্র তাদের। সমান ম্যাচে ৪৬ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে উঠে এসেছে মার্সেই। নিসের কাছে ১-০ ব্যবধানে হেরে যাওয়া লঁস নেমে গেছে তিন নম্বরে, তাদের পয়েন্ট ৪৫।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *