মে ১৯, ২০২৪

থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা মুক্তি পেয়েছেন। আজ রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ভোরে দেশটির পুলিশ হাসপাতাল থেকে মুক্তি পেয়ে তিনি রাজধানী ব্যাংককে নিজের বাসভবনে ফিরে যান। ১৫ বছর স্বেচ্ছানির্বাসনে থেকে দেশে ফেরার ছয় মাসের মাথায় কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন তিনি। খবর এএফপির।

থাইল্যান্ডের দুবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা এই বিতর্কিত ধনকুবের ২০০৬ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন। গত বছরের আগস্টে দেশে ফেরার পর ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির কারণে আট বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় তাকে। তবে দেশে ফেরার কয়েকদিনের মাথায় থাইল্যান্ডের রাজা মাহা ভাজিরালংকর্ন তার শাস্তি কমিয়ে আনেন এক বছরে। পরে গত সপ্তাহে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয় ৭৪ বছর বয়সী থাকসিন সিনাওয়াত্রা তার স্বাস্থ্য ও বয়সের কারণে কারাদণ্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই মুক্তি পাবেন।

আজ রোববার ভোরে পুলিশ হাসপাতাল থেকে মুক্তির পর থাকসিন তার দুই মেয়ে পায়েতংতার্ন ও পিনতংতার সঙ্গে গাড়িতে করে তার বাড়িতে ফিরে আসেন। তবে এ সময় বেশকিছু লোককে হাসপাতালের বাইরে তার মুক্তির প্রতিবাদ জানাতে দেখা যায়। তার মুক্তির বিষয়ে অবশ্য বিস্তারিত জানা যায়নি। তবে ধরে নেওয়া হচ্ছে তিনি নজরদারিতে থাকবেন এবং তার পায়ের গোড়ালিতে একটি ট্যাগ বসানো থাকবে। পাশাপাশি তার চলাফেরাতেও থাকবে বিধিনিষেধ।

গত বছর যে দিনে থাকসিন সিনাওয়াত্রা দেশে ফিরে আসেন, সেই দিনেই তার দল পিউ থাই পার্টি সেনা সমর্থিত দলের সঙ্গে জোট গঠন করে ক্ষমতায় ফিরে আসে। ওই সময় থেকেই অনেকে ধারণা করেছিলেন, তার কারাদণ্ডের মেয়াদ কমিয়ে আনতে নেপথ্যে সমঝোতা হয়েছে। এই গুজব আরও জোরালো হয়ে ওঠে যখন দেখা যায়, জেলখানা থেকে তাকে পুলিশ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

থাকসিন সিনাওয়াত্রা বুকের সমস্যা ও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন। আর এই সমস্যা নিয়েই তিনি হাসপাতালে গিয়েছিলেন। পরের কয়েক মাসে তার শরীরে দুটি অস্ত্রোপচার করা হয় বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল।

সরকারি দলের সঙ্গে পিউ থাই পার্টির কোনো চুক্তির বিষয়কে অস্বীকার করেছেন থাই প্রধানমন্ত্রী শ্রেত্থা থাভিসিন। বরং তিনি বলেন, থাকসিন তার কারাদণ্ডের মেয়াদ পূর্ণ করেছেন। যদিও থাকসিন সিনাওয়াত্রাকে কারাগারের কক্ষে সময় কাটাতে হয়নি।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *