মে ৬, ২০২৪

রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে একটি কনসার্টে বন্দুক হামলার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে অন্তত ১১৫ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতের এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। শুক্রবার রাতে করা এ হামলার সঙ্গে জড়িত চার সন্দেহভাজন বন্দুকধারীসহ ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে রাশিয়া। শনিবার এ তথ্য জানিয়েছে রুশ কর্তৃপক্ষ। খবর আল-জাজিরার

রুশ গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস (এফএসবি) এর নিরাপত্তা পরিষেবার প্রধান আলেকজান্ডার বোর্টনিকভ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে জানিয়েছেন, আটকদের মধ্যে ‘চার সন্ত্রাসী’ রয়েছে। তাদের সহযোগীদের শনাক্ত করতে কাজ করা হচ্ছে।

রাশিয়ার তদন্ত কমিটি জানিয়েছে, শুক্রবার রাজধানীর কাছে কনসার্টে অংশগ্রহণকারীদের ওপর ছদ্মবেশী বন্দুকধারীরা স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে গুলি চালায়। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ গুলির আঘাতে এবং অন্যরা কমপ্লেক্সের ঘটা বিশাল অগ্নিকাণ্ডে মারা গেছেন।

এফএসবি সিকিউরিটি সার্ভিসের বরাতে ইন্টারফ্যাক্স বলেছে, চার সন্দেহভাজন বন্দুকধারীকে ইউক্রেন সীমান্তে যাওয়ার সময় গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের ইউক্রেনের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। গ্রেফতারকৃতদের মস্কোতে পাঠানো হচ্ছে।

তবে ইউক্রেনের সংযোগের কোনও প্রমাণ প্রকাশ করেনি রাশিয়া। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মিখাইলো পোদোলিয়াক শুক্রবার বলেছেন, শুক্রবারের হামলার সঙ্গে কিয়েভের কোনো সম্পর্ক নেই। ইতোমধ্যেই ইসলামিক স্টেট আইএস গোষ্ঠী এর দায় স্বীকার করেছে।

রাশিয়ান আইনপ্রণেতা আলেকজান্ডার খিনশতাইন বলেছেন, আক্রমণকারীরা একটি রেনল্ট গাড়িতে করে পালিয়ে গিয়েছিল। গাড়িটিকে শুক্রবার রাতে মস্কো থেকে প্রায় ৩৪০ কিলোমিটার (২১০ মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিমের ব্রায়ানস্ক অঞ্চলে পুলিশ দেখেছিল। গাড়িটিকে থামার নির্দেশ তা অমান্য করে এটি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।

তিনি বলেন, একটি গাড়িকে ধাওয়া করে দুজনকে আটক করা হয় এবং অন্য দুজন বনের মধ্যে পালিয়ে যায়। ক্রেমলিনের দেওয়া তথ্য থেকে জানা যায়, তাদেরও পরে আটক করা হয়েছিল।

খিনশতেন বলেন, গাড়িতে একটি পিস্তল, একটি অ্যাসল্ট রাইফেলের একটি ম্যাগাজিন এবং তাজিকিস্তানের পাসপোর্ট পাওয়া গেছে। তাজিকিস্তান প্রধানত মধ্য এশিয়ার একটি মুসলিম দেশ। রাষ্ট্রটি আগে সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ছিল।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *