মে ৬, ২০২৪

ভূমিকম্পে বাড়ি-ঘর হারানো মানুষের জন্য এখন নতুন করে বাড়ি নির্মাণ শুরু করেছে তুরস্কের সরকার।

তুরস্ক ও সিরিয়ায় গত ৬ ফেব্রুয়ারি আঘাত হানে ভয়াবহ ভূমিকম্প। স্মরণকালের শক্তিশালী এ কম্পনে শুধু তুরস্কেই ১ লাখ ৬০ হাজার হাজার বাড়ি ধসে পড়ে বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে করে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ বাস্তুহারা হয়ে পড়েছেন।

তার্কিস প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি এক বছরের মধ্যে পুনর্নিমাণ করে দেওয়ার প্রতিশ্রতি দিয়েছেন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, দ্রুত নির্মাণের বদলে কর্তৃপক্ষকে বাড়ির নিরাপত্তার বিষয়টি বেশি প্রাধান্য দিতে হবে। কারণ আগে যেসব বাড়ি ভূমিকম্প সহনীয় হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছিল সেগুলোর বেশিরভাগ গত ৬ ফেব্রুয়ারি ধসে পড়ে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে তুরস্কের একজন সরকারি কর্মকর্তা বলেছেন, ‘কয়েকটি প্রজেক্টের টেন্ডার এবং কন্ট্রাক্ট সম্পন্ন করা হয়েছে। এ কার্যক্রম খুব দ্রুত গতিতে চলছে।’ তিনি জানিয়েছেন, বাড়ির নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।

ভূমিকম্পে গৃহহীন হয়ে যাওয়া মানুষদের আপাতত তাঁবু দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে তার্কিস সরকার। তবে অনেকে অভিযোগ করেছেন, তারা সেগুলো পাচ্ছেন না।

মালেক নামের ৬৭ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘আমার আট সন্তান আছে। আমরা এখন একটি তাঁবুতে বাস করছি। তাঁবুর ওপর পানি জমে আছে আর মাটি স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে আছে। আমরা আরও তাঁবু চাচ্ছি কিন্তু তারা আমাদের সেগুলো দিচ্ছে না।’

হাসসা শহরের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহায়তা গ্রহণ করতে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন মালেক।

স্কুলটি বর্তমানে খাদ্য সহায়তা বিতরণ কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। সেখানে সহায়তা প্রদান করছিল ইন্টারেল তার্কি নামের একটি সংগঠন। ইন্টারেলের একজন ভলান্টিয়ার জানিয়েছেন, বর্তমানে তাঁবুর সংকট তাদের জন্য সবচেয়ে বড় সমস্যা

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *