নভেম্বর ১৭, ২০২৪

শুক্রবার সকালে ঢাকা ও আশেপাশের এলাকায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস এর হিসেব অনুযায়ী এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪.৩।

আমেরিকান সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকার কাছে বিক্রমপুরের দোহার থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে। এই ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে।

এই ভূমিকম্পের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, উৎপত্তিস্থল ঢাকা শহরের খুব কাছে এবং ভূপৃষ্ঠের খুব কাছাকাছি।

ভূতত্ববিদরা বলছেন, ভূমিকম্পটি ভূ-পৃষ্ঠ থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরে হওয়ায় এ নিয়ে কিছুটা চিন্তিত তারা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব বিভাগের সাবেক অধ্যাপক হুমায়ুন আখতার বলছিলেন, “এর আগে যেসব ভূমিকম্প আমরা লক্ষ্য করেছি, সেগুলো ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ৩৫-৪০ কিলোমিটার গভীরে উৎপত্তি হয়েছে। এই ভূমিকম্পটি সেগুলোর তুলনায় অপেক্ষাকৃত অনেকটাই অগভীর।”

এই ভুমিকম্পের তথ্য নিয়ে বিস্তারিত বিশ্লেষণ করে এটির সম্পর্কে আরো তথ্য জানানো যাবে বলে জানান তিনি।

ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার খবর জানিয়ে শুক্রবার ভোরেই ঢাকার অনেক বাসিন্দা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিয়েছেন। ভোর পাঁচটা সাতান্ন মিনিটে ভূমিকম্প হয়। কম্পনের তীব্রতায় অনেকের ঘুম ভেঙেছে।

ভূমিকম্পের পরপরই নাদিয়া ইসলাম তার ফেসবুকে লেখেন, “ভূমিকম্প হয়েছে। সময় ভোর ৫:৫৭। মোটামুটি ১০-১৫ সেকেন্ড ধরে ছিল। আস্তে শুরু হয়ে একটা জোরে ঝাঁকুনি দিলো। আল্লাহ রক্ষা কর আমাদের।”

সকাল সোয়া ছয়টার দিকে রুশা চৌধুরী স্ট্যাটাস দেন, “হঠাৎ মনে হল কে যেন আমাকে ধাক্কা দিচ্ছে। চমকে উঠতেই দেখি সবকিছু নড়ছে। মা-মেয়ে দৌড়ে নিচে নামলাম”

“কাল থেকে কী কী সতর্কতা মেনে চলবো সেটাও আলোচনা করছি দু’জনে।”

তবে এখন পর্যন্ত ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।

ঢাকা শহর ও এর আশেপাশের এলাকা বড় ধরণের ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে বলে ভূতত্ববিদরা আগেই সতর্কবার্তা দিয়েছেন।

বিশেষজ্ঞদের হিসেব অনুযায়ী, বাংলাদেশে আট মাত্রা বা তার চেয়ে বড় ধরণের ভূমিকম্প হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেরকম ভূমিকম্প হলে ঢাকা শহরের অন্তত ছয় হাজার ভবন সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যাবে। প্রাণহানি হবে অন্তত তিন লাখ মানুষের – এমন আশংকা বিশেষজ্ঞদের।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...