প্রথম ৫০টি স্বেচ্ছায় ঋণখেলাপি ভারতীয় সংস্থার তালিকা প্রকাশ করেছে কেন্দ্র সরকার। এই ৫০টি ঋণখেলাপি সংস্থার কাছে ভারতের সব ব্যাংক মিলে বকেয়া ৯২ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা।
আকারে ভারতের অর্থনীতির চেয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি ছোট হলেও খেলাপি ঋণের পরিমাণের দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। আগস্টে অনুমোদন হওয়া বাংলাদেশ ব্যাংকের খেলাপি ঋণ সংক্রান্ত হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে- খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা। এটি এ যাবতকালে সর্বোচ্চ খেলাপি ঋণের অঙ্ক।
লোকসভায় এক প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী ভাগবত করাড যে লিখিত পরিসংখ্যান তুলে ধরেছেন তাতে জানানো হয়েছে, ঋণখেলাপির তালিকার শীর্ষে রয়েছেন ভারত ছেড়ে পালিয়ে ব্রিটেনে গিয়ে গ্রেপ্তার মেহুল চোক্সীর সংস্থা গীতাঞ্জলি জেম্স। ওই সংস্থার কাছে ব্যাংকগুলোর মোট বকেয়া ৭ হাজার ৮৪৮ কোটি টাকা।
রিজার্ভ ব্যাংকের দেওয়া তথ্য প্রকাশ করে মন্ত্রী জানিয়েছেন, ঋণখেলাপির তালিকায় রয়েছে কনকাস্ট স্টিল অ্যান্ড পাওয়ার (৪,৫৯৬ কোটি), এবিজি শিপইয়ার্ড (৩,৭০৮ কোটি), যতীন মেহতার উইনসাম ডায়মন্ডস অ্যান্ড জুয়েলারি (২,৯৩১ কোটি), রোটোম্যাক গ্লোবালের (২,৮৯৩ কোটি) মতো বিভিন্ন সংস্থা। ২০২২ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই এই রিপোর্ট দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাংক।