রাশিয়ার ভাগনার বিদ্রোহ নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ছাড়াও আরো কিছু দেশের প্রধানের সঙ্গে কথা বলেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। তবে জো বাইডেনের সঙ্গে তার দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তার বক্তব্য, রাশিযার এই পরিস্থিতি প্রমাণ করে দিচ্ছে, পুতিনের জনপ্রিযতা কমছে।
বাইডেনের আগে পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার কথা হযেছে বলে জানিযেছেন জেলেনস্কি নিজেই। এছাড়াও তার কথা হয়েছে কানাডার প্রধান জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে। জেলেনস্কি বলেছেন, সকলের সঙ্গেই রাশিয়ার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয়েছে তার। এই বিদ্রোহ যুদ্ধ বন্ধ করতে সাহায্য করবে কি না, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যেই ন্যাটোর বৈঠক শুরু হবে। সেখানে এই বিষয়গুলি যাতে আলোচনায় আসে, সে কারণেই এদিন সকলকে আলাদা করে ফোন করেছিলেন জেলেনস্কি।
এদিকে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত এক বছরে শুধুমাত্র যুক্তরাজ্য ১৭ হাজার ইউক্রেনের সেনাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। পাঁচ সপ্তাহের এই গুরুত্বপূর্ণ প্রশিক্ষণের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অপারেশন ইন্টারফেস’। কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ফিনল্যান্ড, নরওয়ে, নিউজিল্যান্ড, সুইডেন, ডেনমার্ক, লিথিওনিয়ার মতো দেশ এই প্রশিক্ষণে যুক্তরাজ্যকে সাহায্য করেছে বলে জানানো হয়েছে।
ইউক্রেনের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাধারণ মানুষ এই সেনা প্রশিক্ষণ নিতে এসেছিলেন। তারা সকলেই দেশের জন্য লড়তে চান। পাঁচ সপ্তাহে তারা অনেকটাই প্রশিক্ষণ পেয়েছেন।
এদিকে সোমবারই লুক্সেমবুর্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলির পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বৈঠকে বসছেন। ইউক্রেনকে কীভাবে সাহায্য করা হবে, সামরিক দিক থেকে আর কী কী সাহায্য দেওয়া প্রয়োজন, এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে। তারইমধ্যে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, ইউক্রেন নয়, রাশিয়া এবার নিজের সমস্যার দিকে মন দিক। নিজের জনগণকে সামলাক। দেশের ভিতর বিদ্রোহের আগুন বন্ধ করুক। সূত্র: ডিডাব্লিউ, রয়টার্স, এপি, এএফপি