

ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে ব্রাজিলে কমপক্ষে ২১ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন আরও বহু মানুষ এবং বাস্তুচ্যুত হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে মুষলধারে বৃষ্টি এবং প্রবল বাতাসের কারণে এই বিপর্যয়কর অবস্থার সৃষ্টি হয়। বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরও বন্যার আশঙ্কা রয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটির ওই এলাকায়। দেশটির রিও গ্র্যান্ডে ডো সুলের গভর্নর বলেছেন, এটিই তার প্রদেশের সবচেয়ে খারাপ আবহাওয়া বিপর্যয়ের ঘটনা।
বিবিসি বলছে, হাজার হাজার মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। পাঁচ হাজার বাসিন্দার শহর মুকুমে শত শত লোককে তাদের বাড়ির ছাদ থেকে উদ্ধার করতে হয়েছে। কারণ শহরের ৮৫ শতাংশই প্লাবিত হয়েছে।
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা বলেছেন, ফেডারেল সরকার সাহায্য করতে প্রস্তুত। কোথাও কোনও সমস্যা হলে মানুষকে বাঁচাতে ফেডারেল সরকার সেখানে কাজ করবে।
রিও গ্র্যান্ডে ডো সুলের গভর্নর এডুয়ার্ডো লেইট এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, মঙ্গলবার মুকুম শহরে আরও ১৫টি মৃতদেহ পাওয়া গেছে। আর এতেই মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১ জনে।
বিবিসি বলছে, প্রদেশটিতে ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে ৩০০ মিমি-এর বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে এবং এর জেরে বন্যা ও ভূমিধস দেখা দিয়েছে। মুকুম শহরের মেয়র মাতেউস ট্রোজান রেডিও গাউচাকে বলেছেন, ‘এখনও বহু মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।’
এদিকে বন্যার কারণে বিচ্ছিন্ন এলাকায় পৌঁছাতে উদ্ধারকর্মীরা হেলিকপ্টার ব্যবহার করছেন। সংবাদমাধ্যম বলছে, বন্যা হওয়ার পেছনে অনেক কারণ থাকে বলে মনে করা হলেও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে ব্যাপক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা বেড়েই চলেছে।
এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ব্রাজিলের সাও পাওলো প্রদেশে বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ৪০ জন নিহত হয়েছিলেন। এছাড়া গত বছর দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রেসিফ শহরের কাছে প্রবল বৃষ্টিতে ভূমিধস ও কাদার স্রোতে অন্তত ১০০ জনের মৃত্যু হয়।