মে ৯, ২০২৪

রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে আগুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৬ জন নিহত হয়েছেন। দগ্ধ ১২ জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। নিহতদের মধ্যে ৪২ জনের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। শুক্রবার (১ মার্চ) নিহতের স্বজনেরা ঢাকা মেডিকেল কলেজের লাশঘরে (মর্গে) মরদেহ শনাক্ত করেন। পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য ৩ মরদেহ ডিএনএ টেস্ট করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে তারা হলেন রাজধানীর কাকরাইলের ফৌজিয়া আফরিন (২২) ও তার বোন সাদিয়া আফরিন, মালিবাগের পপি রায় (৩৬), পুরান ঢাকার দয়াগঞ্জের সম্পনা পোদ্দার (১১), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার আশরাফুল ইসলাম (২৫), আরামবাগের নাজিয়া আক্তার (৩১) ও তার ছেলে আরাহাম মোস্তফা (৬), পুরান ঢাকার বেচারাম দেউড়ির নুরুল ইসলাম (৩২), কুমিল্লার মুরাদনগরের সম্পা সাহা (৪৬), নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার শান্ত হোসেন (২৪), মতিঝিলের মায়শা কবির (২১) ও তার বোন মেহেরা কবির (২৯), ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক লুত্ফুন নাহার (৫০) ও তার মেয়ে জান্নাতিন তাজরী নিকিতা (২৩), মাদারীপুরের কালকিনির মোহাম্মদ জিহাদ (২২), যশোর সদরের কামরুল হাসান (২০), ভোলা সদরের দিদারুল হক (২৩)।

মরদেহ শনাক্ত হওয়া অন্যরা হলেন মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার আতাউর রহমান (৬৫), টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের মেহেদী হাসান (২৭), কুমিল্লা সদরের নুসরাত জাহান (১৯), মুন্সিগঞ্জ সদরের জারিন তাসনিম (২০), বাড্ডার জুয়েল গাজী (৩০), মালিবাগের রুবি রায় (৪০) ও তার মেয়ে প্রিয়াঙ্কা রায় (১৮), খিলগাঁওয়ের তুষার হাওলাদার (২৩), বাসাবোর কে এম মিনহাজ উদ্দিন (২৫), পাবনার ফরিদপুরের সাগর (২৪), পিরোজপুর সদরের তানজিলা নওরিন (৩৫), শেরপুরের শ্রীবরদীর শিপন (২১), বরিশাল সদরের আলিসা (১৩), বুয়েটের শিক্ষার্থী নাহিয়ান আমিন (১৯) ও লামিসা ইসলাম (২০), বরগুনার মো. নাঈম (১৮) এবং দ্য রিপোর্ট ডটকমের প্রতিবেদক অভিশ্রুতি শাস্ত্রী (বৃষ্টি খাতুন) (২৫)।

এই আগুনের ঘটনায় এক পরিবারের পাঁচজন মারা গেছেন। তারা হলেন ইতালিপ্রবাসী সৈয়দ মোবারক কাউসার (৪৮), তার স্ত্রী স্বপ্না আক্তার (৪০) এবং তাদের তিন সন্তান সৈয়দা ফাতেমা তুজ জোহরা (১৬), সৈয়দা আমেনা আক্তার (১৩) ও সৈয়দ আবদুল্লাহ (৮)। সৈয়দ মোবারক কাউসারের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শাহবাজপুরে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ সূত্রে জানা যায়, একই পরিবারের আরও তিনজনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তারা হলেন কক্সবাজারের উখিয়ার শাহজালাল উদ্দিন (৩৪), তার স্ত্রী মেহেরুন নেসা জাহান (২৪) ও তাদের সন্তান ফাইরুজ কাশেম জামিরা (৩)।

‘কাচ্চি ভাই’ নামের খাবারের দোকানের ক্যাশিয়ার নিহত কামরুল হাবিব রকি

যে চারজনের পরিচয় শনাক্ত হয়নি, তাদের মধ্যে দুজনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে এবং একজনের মরদেহ শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে রয়েছে। এ ছাড়া রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতাল থেকে পরিবারের কাছে একজনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এদিকে রাজধানীর বেইলি রোডে আগুন লাগা ভবনের নিচতলার চায়ের চুমুক রেস্টুরেন্টের ২ মালিক ও কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের ম্যানেজারকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের আটক করা হয়েছে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *