ডিসেম্বর ২৯, ২০২৪

বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান ওরফে মুক্তির জামিন আবেদন খারিজের আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে এ হত্যা মামলা ৬ মাসের মধ্যে বিচারিক আদালতকে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন সর্ব্বোচ আদালত।

আজ রোববার (২৭ আগস্ট) জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

এদিন ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান ওরফে মুক্তির জামিন আবেদন খারিজের আদেশ বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে এই হত্যা মামলা ৬ মাসের মধ্যে বিচারিক আদালতকে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়।

আদালতে আসামি পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ মামুন মাহবুব। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার আশরাফুল ইসলাম।

এর আগে গত ১৯ জুলাই বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগের নেতা ফারুক আহমদ হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান ওরফে মুক্তির জামিন আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তথ্য গোপন করে জামিন আবেদন করায় তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত।

বিচারপতি মো. বদরুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ওইদিন আদালতে জামিন আবেদনকারীর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে এম মাসুদ রুমি।

ওইদিন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে এম মাসুদ রুমি বলেছিলেন, ওই মামলায় সহিদুর রহমান খান গত এপ্রিলে হাইকোর্টের একটি  বেঞ্চে জামিন চেয়ে আবেদন দাখিল করেন। এই আবেদন বিচারাধীন থাকা অবস্থায় গত মাসে জামিন চেয়ে আরেকটি আবেদন করেন। জামিন চেয়ে আগে করা আবেদনের তথ্য দ্বিতীয় দফায় করা আবেদনে উল্লেখ করেননি। রাষ্ট্রপক্ষ তথ্য গোপনের বিষয়টি তুলে ধরলে শুনানি নিয়ে আদালত সহিদুর রহমান খানের জামিন আবেদন খারিজ করে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন।

প্রসঙ্গত: ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমদের গুলিবিদ্ধ লাশ তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিন দিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

২০১৪ সালের আগস্টে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তদন্তে এই হত্যায় তৎকালীন সংসদ সদস্য আমানুর রহমান ও তার ভাইদের নাম আসে। ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় গোয়েন্দা পুলিশ। এ মামলায় আমানুর ছাড়াও তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান ওরফে মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান ওরফে কাকন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সানিয়াত খান ওরফে বাপ্পাসহ ১৪ আসামি রয়েছেন।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...