মে ১৯, ২০২৪

বিশ্ববাজারে স্থিতিশীলতা ফিরলেই দেশেও তেলের দাম কমানো হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।

রোববার (১১ ডিসেম্বর) মিরপুর সেনানিবাসে মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলোজি (এমআইএসটি) আয়োজিত সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

তৌফিক-ই-ইলাহী বলেন, ‘বর্তমানে বিশ্ববাজারে তেলের দাম ৭০ থেকে ৮০ ডলারে নেমেছে, তা আবার কালকেই ১২০ ডলারে উঠে যেতে সময় লাগবে না। সুতরাং জ্বালানির দাম আমাদের একটু বুঝে শুনে নির্ধারণ করতে হবে।’

এদিকে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়াতে বিতরণ কোম্পানিগুলোর আবেদনের বিষয়ে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানান তিনি।

ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, যার যার নিজের আইন আছে, তারা সে আইন অনুযায়ী জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারণ করবে। এখানে সরকারের মনোভাবের কোনো প্রশ্নই আসে না।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিএনপির কমিশন গঠনের দাবিকে নিছক ‘রাজনৈতিক সমালোচনা’ হিসেবে মনে করেন সরকারের এই নীতিনির্ধারক। তিনি বলেন, গত এক যুগে বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতের উন্নয়ন তারা মেনে নিতে পারছেন না বলেই এমন বক্তব্য দিচ্ছেন।

ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, কারও কাছে যদি দুর্নীতির অভিযোগ থাকে, তাহলে দুর্নীতি দমন কমিশনের কাছে সে কাগজপত্র জমা দিতে পারে। রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য মনগড়া মন্তব্য করা হচ্ছে। যা শোভনীয় নয়। বর্তমানে শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছে। বিএনপি এ অর্জনকে মেনে নিতে পারছে না।

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে জ্বালানির বৈশ্বিক অস্থিরতার ধাক্কা বাংলাদেশেও আসে। যার প্রভাবে গত আগস্টে জ্বালানি তেলের দাম রেকর্ড ৫২ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়। তবে বিশ্ববাজার জ্বালানির দাম এখন কিছুটা কমতির দিকে। যুদ্ধের পর শত ডলার ছাড়িয়ে যাওয়া ব্যারেল প্রতি অপরিশোধিত তেলের মূল্য এখন ৭০ থেকে ৮০ ডলারের ঘরে ওঠানামা করছে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *