মে ১৯, ২০২৪

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোতে স্পেশাল অডিটের (বিশেষ নিরীক্ষা) পাশাপাশি বিরতণকৃত লভ্যাংশ সঠিকভাবে বন্টন করা হয়েছে কি-না তা খাতিয়ে দেখা হচ্ছে। ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড (সিএমএসএফ) দিয়ে যেসব অডিট করাচ্ছি, সেখান থেকে অনেক মজার মজার তথ্য বেরিয়ে আসছে। বিশেষ করে গত ৩০/৪০ বছর ধরে কোম্পানিগুলো সঠিক ভাবে লভ্যাংশ বিতরণ করছে কি-না বেরিয়ে আসছে৷ এগুলো নিয়ে কাজ করে অনেক নতুন নতুন শিক্ষণীয় বিষয় বেরিয়ে আসছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের সিকিউরিটিজ কমিশন ভবনের মাল্টি পারপাস হলে ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিষ্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) নতুন কমিটির অভিষেক ও বিদায়ী কমিটির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় সিএমজেএফ সভাপতি গোলাম সামদানী ভূইয়ার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আবু আলীর সঞ্চালনা করেন। অনুষ্ঠানে বিএসইসির কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ, ড. মিজানুর রহমান, মো. আবদুল হালিম, ড. রুমানা ইসলাম, নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান, রেজাউল করিম, সিএমজেএফ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বিএসইসি চেয়ারম্যান আরও বলেন, পুঁজিবাজারের টেকসই উন্নয়নের মাধ্যমে অর্থনীতিতে অবদান বাড়াতে বিএসইসি কাজ করছে। লোকবলের অভাব থাকার পরও নিয়মিত বিভিন্ন কোম্পানিগুলোতে অডিট কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। গেল তিনদশকে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো তাদের ঘোষিত লভ্যাংশ ঠিকভাবে বিতরণ করেছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যেকোনো অনিয়ম পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, আমরা আপনাদের সবদিক থেকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করি। সিএমজেএফের কাজকে কীভাবে আরও উন্নত করা যায় সেগুলোর ব্যাপারে কোনো সহযোগিতার হাত বাড়াতে হলে আমরা তা চেষ্টা করব। আপনারা যত অনুসন্ধানী হবেন এতে আমাদেরই লাভ।

বিএসইসিতে সাংবাদিক প্রবেশাধিকারে বাধার ব্যাপারে প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক শিবলী বলেন, অন্যান্য দেশের সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জে কেউ ঢুকতে পারে কি না দেখবেন। আমাদের কমিশন আসার পর থেকেই আপনাদের (সাংবাদিক) আমরা চোখ কান নাক হিসেবে আমরা দেখি। আপনাদের বন্ধু ভাবি আমরা। আপনারা যেন ভালো করতে পারেন এগুলো আমরা সব দেখছি। দেশ বিদেশে ঘুরে আপনাদের অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করা এগুলো সব আমরা করছি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএসইসি কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা ডিজিটালাইজেশনে অনেক জোর দিয়েছি। এছাড়া আমরা আরও অনেক ধরনের কাজ করছি। আপনারা (সাংবাদিক) তথ্যগুলো এমনভাবে প্রকাশ করবেন যাতে মার্কেটটা স্টেবল থাকতে পারে। মার্কেটের ওপর প্রভাব ফেলে এমন কিছু করবেন না। সাংবাদিকরা পুঁজিবাজার নিয়ে ইতিবাচক সংবাদ পরিবেশন করে আসছেন৷ তারপরেও কোনো বিষয় নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিলে, প্রেস রিলিজের মাধ্যমে বিএসইসি জানিয়ে দেয়। এছাড়া ফেসবুক পেজে আমরা তাৎক্ষণিক সবকিছু জানিয়ে দেই।

অনুষ্ঠানে সিএমজেএফ সভাপতি এস এম গোলাম সামদানী ভূইয়া বলেন, সঠিক নিউজের জন্য প্রয়োজন সঠিক তথ্য। অনেক সাংবাদিক অভিযোগ করেছেন, আমরা বিএসইসিতে প্রবেশ করতে পারছি না। আমরা সাংবাদিকরা যেন নির্বিঘ্নে বিএসইসি প্রবেশ করতে পারি সে জন্য বিএসইসির সহযোগীতা চাচ্ছি। কেউ তথ্য দিতে না চাইলে এটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে বিএসইসিতে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার অবাধ করার দাবি জানাচ্ছি।

এ সময় বিএসইসি চেয়ারম্যান সিএমজেএফের বিদায়ী কমিটির সদস্যদের সংবর্ধনা দেন ও নতুন কমিটির সদস্যদের বরণ করে নেন।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *