টেকনো ড্রাগস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ জালাল উদ্দিন বলেন, পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের ঘাবড়ানোর কোনো কারণ নেই। আমরা অনেক পরিশ্রম করি। আপনারা সাথে থাকলে অনেকদূর এগিয়ে যাবে টেকনো ড্রাগস।
শনিবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর হোটেল ৭১-এ পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সকল স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে অনুষ্ঠিত রোড শোতে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, অনেক পরিশ্রম করে এখানে এসেছি। প্রথমে যাত্রা শুরু করি ভেটনারি প্রোডাক্ট দিয়ে। দেশে ভেটনারির প্রবর্তক টেকনো ড্রাগস। পরবর্তীতে মানুষের ওষুধ নিয়ে কাজ শুরু করি। ২০১৪ সালে ওষুধ রপ্তানিতে চতুর্থ স্থান অর্জন করি আমরা। এরপরে ২০১৫ ও ২০১৬ সালে তৃতীয় স্থান অর্জন করতে সক্ষম হই। ডলার সংকটের কারণে গত দুই বছর আমরা কিছুটা পিছিয়ে পড়ি। তবে আবার আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) প্রেসিডেন্ট ছায়েদুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন পুঁজিবাজারে নেতিবাচক প্রভাব চলছে। অনেকে ধারণা করছিলো আইপিওর কারণে বাজারে এই অস্থিরতা। তবে বাজার ভালো হওয়ার পেছনে আইপিওর কোন প্রভাব নেই বলে মনে করছেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, বাজারের সমস্যা সমাধানে অনেক নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। এরপরও আমরা লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারি নি। বাজার পুরোটা মনস্তাত্ত্বিকভাবে চলে। পুঁজিবাজার ও আইপিও নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। তবে নতুন বিনিয়োগকারী টানতে আইপিও দরকার আছে।
বুক বিল্ডিং পদ্ধতির প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজারে আসতে চায় ওষুধ উৎপাদনকারী কোম্পানি টেকনো ড্রাগস লিমিটেড। কোম্পানিটি আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ১০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। আর এই অর্থের বড় অংশ কোম্পানিটি ব্যয় করতে চায় নতুন মেশিনারি ক্রয়, ভবন নির্মাণ ও আংশিক ঋণ পরিশোধ খাতে।
টেকনো ড্রাগস লিমিটেড লিমিটেড ২০০৯ সালে নিবন্ধিত হয়। তবে কোম্পানিটি বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করে পরের বছর ২০১০ সালের ১ জুলাই। বর্তমানে কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৯৪ কোটি ১৫ লাখ টাকা। সর্বশেষ হিসাববছরে কোম্পানিটি ১৯ কোটি ৫৫ লাখ টাকা নিট মুনাফা করেছে।
গত ৩০ জুন, ২০২৩ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে (ইপিএস) ২ টাকা ৮ পয়সা। এসময় শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ২৭ টাকা ৭৪ পয়সা।