কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে লাইনচ্যুত হওয়া বিজয় এক্সপ্রেস পুরোপুরি উদ্ধারে দুয়েকদিন সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম পূ্র্বাঞ্চলীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম।
সোমবার (১৮ মার্চ) ভোররাত ৪টা ৫মিনিটের দিকে এ তথ্য জানান তিনি।
এর আগে ভোররাত ৪টার দিকে ট্রেন চলাচলের জন্য ডাউন লাইনকে উপযুক্ত ঘোষণা করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এর ফলে লাইনচ্যুত হওয়ার ১৪ ঘণ্টা পর ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এ প্রসঙ্গে সাইফুল ইসলাম জানান, রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে দুটি রিলিফ ট্রেন উদ্ধার কাজ শুরু করে। রাত ৪টা পর্যন্ত ৯ ঘণ্টা চেষ্টার পর ডাউন লাইনের ওপর পড়া বগিগুলো টেনে লাইন থেকে সরানো হয়েছে। এখন ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
বিজয় এক্সপ্রেস খুব বাজেভাবে লাইনচ্যুত হয়েছে জানিয়ে এ রেল কর্মকর্তা বলেন, উদ্ধার কাজ শেষ হতে দুয়েকদিন সময় লাগতে পারে। তবে আপাতত ডাউন লাইন ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করার উপযোগী করা হয়েছে। দুই লাইনের ট্রেনই ডাউন লাইন দিয়ে চলাচল করবে। আপ লাইন একেবারেই চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে গেছে। নতুন করে লাইন তৈরি করা লাগতে পারে। কবে নাগাদ তা ঠিক করা হতে পারে তা নির্দিষ্ট করে বলা দায়।
প্রসঙ্গত, রোববার (১৭ মার্চ) বেলা ২টার দিকে কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন লাইনচ্যুত হয়। ট্রেনের ১৮টি বগির মধ্যে ইঞ্জিনের সঙ্গের ৯টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে ছিটকে পড়ে যায়। এতে সারা দেশের সঙ্গে চট্রগ্রামের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় প্রায় ৫০০ মিটার রেললাইন।
এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত থাকলেও কারও আঘাত গুরুতর নয় বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দেবদাস দেব। আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে গন্তব্যে ফিরে গেছেন। আর দূরদূরান্তের যাত্রীদের বিকল্প মাধ্যমে গন্তব্যে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হয়। এ ঘটনায় চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।