মে ১৯, ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমি বিএনপি-জামায়াতকে ধিক্কার জানাই। বিএনপি হচ্ছে একটি সন্ত্রাসী দল। এই সন্ত্রাসী দলের বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। কারণ তারা মানুষ পোড়ায়, মানুষ হত্যা করে। আমাদের রাজনীতি মানুষের কল্যাণে আর তাদের রাজনীতি মানুষ পোড়ানোতে। আজ শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে বরিশাল নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে নির্বাচনী জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, তাদের (বিএনপি-জামায়াত) দোষর হলো একাত্তরে যারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে গণহত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট করেছে সেসব যুদ্ধাপরাধীরা। বিএনপি হচ্ছে খুনি, সন্ত্রাসী, দশ ট্রাক অস্ত্র চোরাকারবারী, মানিলন্ডারিং ও এতিমের অর্থ আত্মসাৎকারীর দল। আর তাদের সঙ্গে জুড়েছে যুদ্ধাপরাধীর দল জামায়াত। তারা নির্বাচন চায় না, নির্বাচন বানচাল করতে চায়।

তিনি বলেন, পঁচাত্তরে জাতির পিতাকে হত্যার পর শুধু যে একজন রাষ্ট্রপতিকে হত্যা করেছে তা নয়, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করেছিল, স্বাধীনতার মূল্যবোধকে ধ্বংস করেছিল। শুধু তাই নয়, জয় বাংলা স্লোগান, ৭ মার্চের ভাষণ এমনকি জাতির পিতার ছবিও নিষিদ্ধ করেছিল। ক্ষমতায় থেকে মানুষের ভাগ্য না গড়ে নিজেদের ভাগ্য গড়েছিল বিএনপি-জামায়াত। দেশের মানুষ তাদেরকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না।

এসময় শেখ হাসিনা জনসভায় উপস্থিত জনতার উদ্দেশে বলেন, আপনাদের কাছে আহ্বান, আপনারা ৭ তারিখে সবাই সকাল সকাল ভোটকেন্দ্রে যাবেন। মার্কাটা কী, নৌকা মার্কা। নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন। এই নৌকায় ভোট দিলে স্মার্ট বাংলাদেশ হবে।

সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু উদ্যানেই জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের এক জনসভায় ভাষণ দিয়েছিলেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ সভাপতি দেশের কয়েকটি জেলায় জনসভা করছেন। তারই ধারাবাহিকতায় এদিন বরিশালে যান শেখ হাসিনা। আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *