মে ১৯, ২০২৪

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বালি প্রসেস যেন সমস্যার সাময়িক উপশমের উপলক্ষ না হয়। বরং অনিয়মিত অভিবাসনের মূল কারণগুলো মূলোৎপাটনে বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে কাজ করতে হবে।

গতকাল শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার এডিলেইডে অনুষ্ঠিত বালি প্রসেস ফোরামের মানব পাচার ও চোরাচালান এবং এ সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক আপরাধ বিষয়ক মন্ত্রী পর্যায়ের অষ্টম সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ আহবান জানান।

তিনি বলেন, যুদ্ধ ও সহিংসতা, দীর্ঘস্থায়ী সংঘাত, ক্রমবর্ধমান বৈষম্য, নিয়মিত অভিবাসনের স্বল্পতা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট উদ্বাস্তু জনগোষ্ঠীর মতো সমস্যাগুলো অনিয়মিত অভিবাসন বৃদ্ধিতে অবদান রাখছে। যা বিশ্বের নীতি নির্ধারকদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হিসাবে দেখা দিয়েছে। সুতরাং বালি প্রসেসকে কার্যকর করতে সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে অনিয়মিত অভিবাসনের মূল কারণ চিহ্নিত করে তা মোকাবিলায় ভূমিকা রাখতে হবে।

রোহিঙ্গা সমস্যা আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে টেকসই প্রত্যাবাসনে সকল দেশকে সক্রিয়ভাবে কাজ করার আহবান জানান।

সম্মেলনের সাইড লাইনে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওয়াং এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্লেয়ার ও’নীলের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন । এসময় তিনি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টিতে অস্ট্রেলিয়ার সহযোগিতা কামনা করেন। মানবিক সাহয্যের পাশাপাশি শরণার্থী ভিসা প্রদান ও রোহিঙ্গাদের গ্রহণের বিষয়টি অস্ট্রেলিয়া বিবেচনা করতে পারে বলে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

এছাড়া অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যম এবিসি নিউজ ও দি সিডনি মর্নিং হেরাল্ডকে সাক্ষাৎকার দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

সম্মেলনে ড. মোমেন ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। তিনি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আসিয়ান দেশসমুহকে যুক্ত করতে এবং এ বিষয়ে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টিতে ইন্দোনেশিয়ার সহযোগিতা কামনা করেন।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *