মে ২০, ২০২৪

রাজশাহীতে কাজের তেমন সুযোগ নেই। এখানে কোনো ভারী কলকারখানা নেই। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্ক, জয় সিলিকন টাওয়ার স্থাপনের ফলে অনেক মানুষের কাজের সুযোগ হবে। আগামী ২০৪১ সাল বাংলাদেশ ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ হবে। ২০৪১ এর সৈনিক হিসেবে সবাই গড়ে উঠবে বলে জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (১২ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০২২’ এর উদ্বোধনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালে আমরা যে লক্ষ্য স্থির করেছিলাম, আমরা সেটা করেছি। এখন আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ করব। যদিও করোনাভাইরাসের সঙ্গে সঙ্গে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ, আমেরিকা প্রদত্ত স্যাংশন, ইউরোপের স্যাংশন এবং কাউন্টার স্যাংশান, যার ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। উন্নত দেশগুলো হিমশিম খাচ্ছে। গ্রেট ব্রিটেনের মতো উন্নত দেশও নিজেদের অর্থনৈতিক মন্দার দেশ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। আল্লাহর রহমতে এখনও আমরা আমাদের অর্থনৈতিক চাকা সচল রাখতে সক্ষম হয়েছি।

তিনি বলেন, এই শীতের মধ্যে বিদ্যুৎ পাচ্ছে না শীতের দেশ, যেখানে হিটার না জ্বালিয়ে এক মুহূর্ত থাকতে পারে না। আজ তারা বিদ্যুৎ পায় না। এমনও অবস্থা আছে ইউরোপ, ইংল্যান্ড, আমেরিকার অনেক জায়গায়, যেখানে গোটা পরিবার একটা রুমে হিটার জ্বালিয়ে একসঙ্গে থাকে। কারণ সেখানে বিদ্যুতের অভাব রয়েছে। কিছু দিন আমাদের অসুবিধা হয়েছে, তারপর আমরা দিয়ে যাচ্ছি। একেবারে বঞ্চিত কাউকে করিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বাংলাদেশকে আগামী ৪১ সালে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলব। সেই বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে আমরা চলে যাব। স্মার্ট বাংলাদেশ করার জন্য চারটি ভিত্তি ঠিক করা হয়েছে। আমাদের প্রত্যকটা সিটিজেন প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ হবে, স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি অর্থাৎ ইকোনমির সমস্ত কার্যক্রম আমরা প্রযুক্তি ব্যবহার করে করব। স্মার্ট গর্ভমেন্ট, ইতোমধ্যে আমরা অনেকটাই করে ফেলেছি এবং আমাদের সমস্ত সমাজই হবে স্মার্ট সোসাইটি।

অনুষ্ঠানে রাজশাহীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্কের প্রধান স্থাপনা জয় সিলিকন টাওয়ার, বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল মিউজিয়াম এবং সিনেপ্লেক্সের উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়। একই সময় বরিশালে নির্মিত শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টারেরও উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে রাজশাহী থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন- আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, রাজশাহী সদর দুই আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফরুল্লাহ এনডিসি, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আবদুল বাতেন, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক ও রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল প্রমুখ।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন একেএম রহমত উল্লাহ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *