মে ৯, ২০২৪

ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বলেছেন, ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে তার বন্ধুত্বকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয় এবং তার পূর্ণ সম্ভাবনা কাজে লাগাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধন রয়েছে, যা দুই দেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং ত্যাগের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ভারত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বন্ধু এবং অংশীদার হতে পেরে গর্বিত এবং প্রতিবেশীর সঙ্গে উন্নয়ন অভিযাত্রায় অংশীদার হয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) নয়াদিল্লীতে বাংলাদেশের ১০০ সদস্যের একটি যুব প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রপতি ভবনে তার সাথে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।

ভারতের রাষ্ট্রপতি বলেন, আমাদের অবশ্যই এই চেতনাকে রক্ষা করতে হবে এবং লালন করতে হবে, যা আমাদের দুই দেশের মধ্যে অনন্য বন্ধনকে অনুপ্রাণিত করে। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক হৃদয় ও আত্মার সম্পর্ক, কারণ দুই দেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক যোগসূত্র রয়েছে এবং শিল্প, সঙ্গীত, ক্রিকেট এবং খাবারের ক্ষেত্রে দুই দেশের অভিন্ন সম্পর্ক রয়েছে।

তিনি বলেন, রবি ঠাকুরের লেখা দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীতই গর্বের উৎস। বাউল সঙ্গীত এবং কাজী নজরুল ইসলামের রচনার প্রতি আমাদের ভালবাসা অভিন্ন। আমাদের অভিন্ন ঐতিহ্যে আমাদের ঐক্য ও বৈচিত্র্য উদযাপিত হয়। ভারত ও বাংলাদেশ একটি বৃহৎ ও উদ্যমী যুব জনসংখ্যার আবাসস্থল, যাদের বিশ্বকে একটি নতুন রূপ দেওয়ার সীমাহীন সম্ভাবনা রয়েছে।

সবাইকে এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী দিনের নেতা হিসেবে সবুজ, টেকসই ও শান্তিপূর্ণ বিশ্ব গড়ে তোলা তরুণদের দায়িত্ব।

ভারতের রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন, এই প্রতিনিধি দলের সদস্যদেরকে সারা বাংলাদেশ থেকে বাছাই করা হয়েছে। এটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, যেখানে ৫০ শতাংশেরও বেশি নারী এবং সর্বস্তরের অংশগ্রহণকারীরা রয়েছে।

তাদের সফর সম্পর্কে মুর্মু বলেন, এখানে তাদের উপস্থিতি শুধু সফর নয়; এটি দুই দেশের মধ্যে একটি সেতু বন্ধন গড়ে তুলবে। এটি সহযোগিতা ও বন্ধুত্বের স্থায়ী চেতনার প্রমাণ যা ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ককে তুলে ধরছে।

রাষ্ট্রপতি যুব প্রতিনিধি দলের সদস্যদের ভারতের বিভিন্ন দিক এবং এর বৈচিত্র্য এবং বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও শিল্পকলার ক্ষেত্রে উন্নয়নের অভিজ্ঞতার সুযোগ কাজে লাগানোর আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, যেহেতু তারা সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে, সেহেতু ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে শান্তি, সমৃদ্ধি ও বন্ধুত্বের বন্ধনকে শক্তিশালী করার জন্যও তাদের সচেষ্ট হওয়া উচিত।

বাংলাদেশ ইয়ুথ ডেলিগেশন প্রোগ্রাম ২০১২ সালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে শুরু হয়েছিল, যার উদ্দেশ্য ছিল দুটি দেশের তরুণদের মধ্যে সৌহার্দ্য ও সমঝোতা গড়ে তোলা, ধারণার আদান-প্রদান এবং মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির উপলব্ধি উন্নত করা।

 

সূত্র : বাসস

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *