মে ২০, ২০২৪

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমাদের লক্ষ্য বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা। বাংলাদেশ পৃথিবীর কাছে একটি গর্বিত জাতি। বাংলাদেশের প্রশংসায় সমস্ত বিশ্ব পঞ্চমুখ। আজ বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর রায়েরবাজার শহীদ বুদ্ধিজীবী সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি যারা স্বাধীনতা চায়নি। স্বাধীনতাকামী মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে যারা লড়াই করেছে। যুদ্ধ করেছে পাকিস্তানিদের হয়ে। সেই জামায়াতে ইসলামিকে তারা (বিএনপি) সঙ্গে নিয়ে অপরাজনীতি করছে। অপরাজনীতি দেশে না থাকলে দেশ আজ বহুদূর এগিয়ে যেতে পারত।’

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা। বাংলাদেশ পৃথিবীর কাছে একটি গর্বিত জাতি। বাংলাদেশের প্রশংসায় সমস্ত বিশ্ব পঞ্চমুখ। অথচ বাংলাদেশে এখনও সাম্প্রদায়িক রাজনীতি হয়। যেই স্বপ্ন এঁকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা দিয়েছিলেন, আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা জীবন দিয়েছেন সেই স্বপ্নের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করাই আমাদের লক্ষ্য।’

এ সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সকালে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় বিউগলে করুন সুর বাজানো হয়। শহীদদের সম্মানে সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করে। পরে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে দলের নেতাদের সঙ্গে নিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ বেদীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

পরে একে একে শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষে মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, শহীদ পরিবারের সন্তান ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধারা।

১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভের দুদিন আগে ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর আলবদর, আল শামস ও রাজাকাররা জাতিকে মেধাশূন্য করতে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বরেণ্য শিক্ষাবিদ, গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, কবি ও সাহিত্যিকদের রাতের আঁধারে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। এ নির্মম হত্যাকাণ্ডের মাত্র দুদিন পর ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করে ও পৃথিবীর মানচিত্রে স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *