মে ২০, ২০২৪

আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আজ আমরা এখানে সমবেত হয়েছি ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে। বিশ্বের বুকে যে পরিচয়টা পেয়েছি, সেটা দিয়ে গেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রহমান। আমরা যে মাতৃভাষায় কথা বলতে পারছি, আমরা যে স্বাধীন জাতি হিসেবে মর্যাদা পেয়েছি সেটা তার হাত ধরেই এসেছে। এ উপমহাদেশে একমাত্র ভাষাভিত্তিক রাষ্ট্র হচ্ছে বাংলাদেশ। সে জাতি রাষ্ট্র আমরাই পেয়েছি।

বৃহস্পতিবার বিকেলে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকারসহ সবকিছু অর্জন করতে হয়েছে অনেক আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে। ১৯৪৭ সালে করাচিতে একটা শিক্ষা সম্মেলন হয়, সেখানে বলা হয় রাষ্ট্র ভাষা হবে উর্দু। সেদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররা এই প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে গিয়ে প্রতিবাদ জানায়।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বিরুদ্ধে ১৯৫৮ সাল থেকেই পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা রিপোর্ট করত। আমি ৯৬’ সালে সরকার গঠন করে এসবির অফিস থেকে সব ফাইল সংগ্রহ করি। আমার সঙ্গে ছিলেন বেবী মওদুদ, দু’জনে মিলে ফাইলগুলো পড়ি। ভাষা আন্দোলনে তিনি কী কী কাজ করেছেন তা কিন্তু সেখানে স্পষ্ট হয়েছে। প্রথম খণ্ডেই অনেক তথ্য পাবেন। রিপোর্টগুলো যেহেতু শেখ মুজিবের বিরুদ্ধে এটা তো কেউ অস্বীকার করতে পারবে না।

তিনি বলেন, আমি যখনই তথ্যগুলো নিয়ে একবার বক্তব্য দিলাম। আমাদের দেশের একজন লেখক (বদরুদ্দিন ওমর), তিনি আমার ওপর ক্ষেপে গিয়ে আমার বিরুদ্ধে লিখলেন, আমি নাকি এসব তথ্য বানিয়ে লিখেছি। আমি আর বেবী মওদুদ তথ্যগুলো নিয়ে এম আর আক্তার মুকুল ভাইয়ের বাসা যাই। আমরা তো চুনাপুঁটি, আমরা লিখলে হবে না। তাই মুকুল ভাইকে বললাম আপনি লিখবেন। আপনি জবাব দেবেন। উনি লিখলেন, তার পর আর কোনো কথা নেই। ইতিহাসকে বিকৃত করা এবং বঙ্গবন্ধুর অবদানকে অস্বীকার করা, এটা আমাদের দেশের এক শ্রেণির মানুষ করত। এখনও দেখবেন যা কিছু করেন কোনো কিছুই তাদের ভালো লাগে না। ভালো না লাগার গ্রুপই আমাদের নামে বদনাম ছড়ায় সব জায়গায়। তাদের কিছু ভালো লাগে না। এটাই হলো বড় কথা।

সরকারপ্রধান বলেন, ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নাম মুছে দেওয়া হয়েছিল। এখন আর তা মুছতে পারবে না। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেই ২১শে ফেব্রুয়ারিকে শহীদ দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। ওইদিন সরকারি ছুটি দেওয়া, শহীদ মিনার তৈরি প্রকল্প গ্রহণ ও বাজেট দিয়েছিল। আওয়ামী লীগ বা জাতির পিতা বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠায় আজীবন সংগ্রহ করছেন। এই সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা আজ মুক্তি পেয়েছি।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ড. আব্দুর রাজ্জাক, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আতাউর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মো. নুরুল হুদা, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমেদ প্রমুখ।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *